বৃষ্টির পানি ও
উজানের ঢলে
তিস্তা নদীর
পানি বিপদসীমার
উপর দিয়ে
প্রবাহিত হচ্ছে।
চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করেছে পানি।
উজানের ধেয়ে
আসা পানি
নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট
খুলে দেয়া
হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন রোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সর্তকীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, সোমবার রাত থেকে তিস্তায় পানি বাড়তে থাকে। সকাল ৬টা নাগাদ বিপদসীমার (বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৪০) ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে তিস্তার পানির চাপে ডিমলা উপজেলার খালিশাচাঁপানী ইউনিয়নের বাইশপুকুরসহ চরাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগে পড়েছে চরের মানুষ। তিস্তা নদী সংলগ্ন বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের সূত্র মতে পানি বৃদ্ধির কারণে নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার তিস্তাপাড়ের নিম্নাঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি প্লাবিত গ্রামগুলো হচ্ছে ছোটখাতা, পশ্চিম বাইশপুকুর, পূর্ব বাইশপুকুর, কিসামত ছাতনাই, পূর্বছাতনাই ঝাড়শিঙ্গেরশ্বর, বাঘেরচর, টাবুর চর, ভেন্ডাবাড়ী, ছাতুনামা, হলদিবাড়ী, একতারচর, ভাষানীর চর, কিসামতের চর ও ছাতুনামা চরগ্রাম।
বন্যার পানিতে রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় পানিবন্দী মানুষগুলো কলাগাছের ভেলা বানিয়ে কোনো রকমে চলাচল করছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজার রহমান জানান, তিস্তা নদীর পানির চাপ সামলাতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইচ গেট খুলে রাখা হয়েছে। বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।