ব্রাজিল থেকে বাংলাদেশে
আমদানিকৃত প্রায় দুই লাখ মেট্রিক
টন গমের
গুনগত মান
নিয়ে এক
পরীক্ষার রিপোর্ট
বলছে কিছু
কিছু ক্ষেত্রে
গমের মান
সরকার নির্ধারিত
গ্রহণযোগ্যতার মানের সাথে সামঞ্জস্য নেই।
সরকারি গবেষণা সংস্থা বিসিএসআইআর বলছে, ১৪টি খাদ্য গুদামের গম পরীক্ষা করে তারা দেখেছে নমুনার প্রায় অর্ধেক গমেই ভাঙ্গা দানার পরিমাণ অনেক বেশি।
তবে এগুলো খাওয়ার উপযোগী কিনা সেই পরীক্ষা করার ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ’ না থাকায় তারা সেটা করতে পারেনি।
এদিকে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলছেন, এই পরীক্ষার ফল বলে দিচ্ছে আমদানিকৃত গম নিম্নমানের নয়।
বাংলাদেশে গমের চাহিদা মেটাতে এই গম ব্রাজিল থেকে আমদানি করা হলে এর মান নিয়ে গণমাধ্যমে গত কয়েকদিন ধরে বিস্তর লেখালেখি হচ্ছে।
দু'দিন আগে গমের মান পরীক্ষার জন্য সরকারি গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশে বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে পাঠানো হয়।
তবে এখন এই গম খাওয়ার উপযোগী কিনা সেই পরীক্ষা করেনি গবেষণা সংস্থাটি।
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, গমের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা ভিত্তিহীন, কারণ অধিদপ্তরের ল্যাব ছাড়াও সায়েন্স ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষা করা হয়েছে, ফলে অভিযোগ যা করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন এবং এর কোন যুক্তি নেই।
চারশো' কোটি টাকা খরচে আমদানি করা এই গম আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কাজের বিনিময়ে খাদ্য সহ সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিতরণ করা হয়।
গম খাওয়ার উপযোগী কিনা সেই পরীক্ষা কেন করা হল না, এমন প্রশ্নে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সব গুদাম থেকে গম নিয়ে যে কেউ চাইলে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
এই গম দূর্ঘন্ধযুক্ত নয় বা খাওয়ার অনুপযোগী নয় বলেও তিনি দাবি করেন।