গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে সূচক বাড়েনি

S M Ashraful Azom
গেল সপ্তাহে এক দিনও পুঁজিবাজারেরর সূচক বাড়েনি। উপরন্তু লেনদেন কমে গেছে। গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮৪২ কোটি টাকার, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১ হাজার ৯৩৬ কোটি টাকা। অর্থাত্, গেল সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন প্রায় ৫ শতাংশ কমেছে। এ দিকে, ডিএসইতে সার্বিক মূল্যসূচক কমেছে ৬৪ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে কমেছে ডিএসই-৩০ এবং শরিয়াহ সূচকও। আর বাজার মূলধন আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ১ শতাংশ কমে ৩ লাখ ১৬ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।
 
সপ্তাহের মোট লেনদেনে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল প্রকৌশল খাত। ডিএসইর লেনদেনের ২০ শতাংশ ছিল এ খাতের কোম্পানিগুলোর অবদান। এর পরই ছিল ওষুধ খাত, যা মোট লেনদেনের ১৬ শতাংশ। এরপর রয়েছে বিদ্যুত্ জ্বালানি ও বস্ত্র খাত। ওষুধ খাতের লেনদেন বাড়ার পেছনে বড় অবদান রেখেছে বেক্সিমকো ও স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। কারণ, গত সপ্তাহে এ দুই কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ রফতানির অনুমোদনপত্র পেয়েছে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে। এ ছাড়া, গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে অলিম্পিক অ্যাক্সেসরিজের। লেনদেনের প্রথম দিনেই এ কোম্পানিটির শেয়ার দর প্রায় ৩৯১ শতাংশ বেড়েছে।
 
এ দিকে, আগের সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহেও শেয়ারদর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাতের হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস। নতুন প্রকল্প স্থাপনের সংবাদে গত ১১ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৩৭ শতাংশ বেড়েছে। গেল সপ্তাহে এ কোম্পানিটির মোট ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৪৩ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়।
 
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে—পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। ‘এ’ ক্যাটাগরি অনুযায়ী লভ্যাংশ প্রদান করায় এ উন্নয়ন হয়েছে। ক্যাটাগরি উন্নয়নের ফলে কোম্পানিটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহও বেড়েছে। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৭৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়। এতে কয়েক মাস পর ফের কোম্পানিটি ডিএসইর লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে।
ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top