প্রিন্টিং ও প্যাকেজিংয়ে ৩০ বিলিয়ন ডলারের রফতানি আয় সম্ভব

S M Ashraful Azom
দেশের প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং খাত বিশ্বমানের হলেও নীতি সহায়তা ও উপযুক্ত দিক-নির্দেশনার অভাবে ৭২৪ বিলিয়ন ডলারের বিশ্ববাজারে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে পারছে না এ খাতের উদ্যোক্তারা। তাদের বিশ্বাস, উপযুক্ত সহয়তা পেলে এ খাত থেকে বছরে ৩০ বিলিয়ন ডলারের রফতানি আয় করা সম্ভব। তারা বলেন, এ খাতের অধিকাংশ কাঁচামালই দেশে পাওয়া যায়। এছাড়া  মূল্য সংযোজন হবে প্রায় ৮০ শতাংশ।
গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেশের ‘মুদ্রণ ও মোড়কজাত পণ্যের বর্তমান অবস্থা এবং রফতানি সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তাদের বিশ্বাস, যথাযথ দিক-নির্দেশনা ও সরকারি সহায়তা পেলে আগামী পাঁচ বছরে এই রফতানি আয় করা সম্ভব এবং কর্মসংস্থান হবে ৫০ লাখ মানুষের।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীষ বসুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে দেশের মুদ্রণ খাতের উদ্যোক্তা, বিনিয়োগ বোর্ড এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং সরকারি-ব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের বিশাল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে মোস্তাফিজুর রহমান তার প্রবন্ধ উপস্থানের সময় বলেন, বর্তমানে ১ কোটি ৬০ লাখ ডলারের মুদ্রণ ও মোড়ক পণ্য বিশ্ববাজারে রফতানি হয়। এটা প্রতিবছরই প্রায় ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। তিনি বলেন, দেশের মুদ্রণ ও কাগজ শিল্পের উত্পাদন সক্ষমতা দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার চেয়ে বেশি। তাই এই শিল্পের আউটসোর্সিং খাত হিসেবে বিশ্ববাজারে বিশাল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কারণ বিশ্ববাজারে বই রফতানি করেও দেশ বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে।
দেশের মুদ্রণ শিল্পের সক্ষমতা তুলে ধরে এ প্রবন্ধকার আরও বলেন, দেশে বর্তমানে প্রায় ১০০ কোটি টাকার বাজার রয়েছে। আর এ খাতের সক্ষমতার ব্যবহার হয় মাত্র ৩০-৪০ শতাংশ। দেশের মুদ্রণ খাতের প্রধান কাঁচামাল কাগজ শিল্পের প্রায় ৭৫টি কাগজ মিল রয়েছে। এর উত্পাদন সক্ষমতা পুরোপুরি ব্যবহার হয় না।
ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top