সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও রায় দ্রুত কার্যকর, জামায়াতসহ যুদ্ধাপরাধ সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠন নিষিদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের মৌল চেতনা বাস্তবায়ন করার দাবি করেছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
শুক্রবার শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২১তম মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে তারা এ দাবি করে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে একজন মানুষ কেমন করে তার সবকিছু উজার করে দিতে পারে তার জ্বলন্ত উদাহরণ হলো জাহানারা ইমাম। কিন্তু শাসকদের কাছে মানুষের এ চাওয়ার কোন মূল্যই রইল না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে শুরু থেকে পরিস্কার অবস্থান নিতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। তারা রাজাকার, আলবদরদের সমাজে প্রতিষ্ঠা করা, আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়া এবং এই শক্তিকে নিজেদের ক্ষমতায় যাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করলো। ফলে যুদ্ধাপরারীদের বিচারের দাবির তীব্র আকাক্ষা থেকেই গড়ে উঠে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল জাতীয় সমন্বয় কমিটি’ আর এর নেতৃত্ব দেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম।
স্বাধীনতার ৪৪ বছরেও বিচারের কাজটা শেষ করা যায় নি। এর মধ্যদিয়ে শাসকদের মনোভাব ফুটে উঠে। তারই ধারাবাহিকতায় গণজাগরণ মঞ্চ প্রতিষ্ঠা পেলো। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম আন্দোলনের গতি ধারা অব্যাহত থাকলো।
সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সভাপতি রওশন আরা রুশোর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ ঢাকা নগরের সদস্য সচিব জুলফিকার আলী, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শম্পা বসু, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের দপ্তর সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স ও প্রচার সম্পাদক মৈত্রী বর্মণ প্রমুখ।