টানা বর্ষণে তলিয়ে গেছে বন্দর নগরীর নিম্নাঞ্চল

S M Ashraful Azom
তিনদিনের টানা বৃষ্টিপাতে চট্টগ্রাম নগরীর নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। বন্দরনগরী ও আশপাশের এলাকায় গত সোমবার সকাল থেকে কখনো থেমে থেমে আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় ১৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর ৩টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
 
টানা বৃষ্টির কারণে নগরীর মুরাদপুর, ষোলশহর ২নং গেট, হামজারবাগ, পাঁচলাইশ, মোহাম্মদপুর, চান্দগাঁও, মোহরা, শুলকবহর, হালিশহর, আগ্রাবাদ, হালিশহর আবাসিক এলাকা, কাপাসগোলা, বাদুরতলা, চকবাজারসহ নগরীর কয়েকটি নিচু এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকার হাঁটু থেকে কোমড় পানি উঠেছে। টানা বর্ষণ ও জলাবদ্ধতায় নগরজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে আসবাবপত্র নষ্ট হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে মঙ্গলবার নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ী এলাকায় দেয়াল ধসে দু’জনের মৃত্যু হয়।
 
এদিকে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশ থেকে সরে যেতে মাইকিং করেছে প্রশাসন। গতকাল বুধবার নগরীর আকবর শাহ, শাপলা আবাসিক এলাকা, বিশ্ব কলোনি, ফারুক চৌধুরী মাঠ, টাইগার পাস, লালখান বাজার মতিঝর্ণা, বাটালি হিল, বায়েজিদ বোস্তামী বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় মাইকিং করা হয়। পাহাড়ের নিচে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী লোকজনকে সরে নিকটস্থ স্কুলের আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এদিকে লালখান বাজার মতিঝর্ণা এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশ থেকে ৫০টি পরিবারকে গতকাল বুধবার সরিয়ে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। তাদেরকে লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। নগরীর বিভিন্নস্থানে ১৩টি পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি রয়েছে। ২০০৭ সালের ১১ জুন চট্টগ্রাম মহানগরী ও আশপাশের এলাকায় পাহাড় ও ভূমি ধসে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়।

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top