কুড়িগ্রাম: বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত ১১১টি ছিটমহলের বাসিন্দাদের নাগরিকত্ব নির্ধারণে প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ভারত-বাংলাদেশের ১৬২টি ছিটমহল বিনিময় ৩১ জুলাই মধ্যরাত থেকে কার্যকর শুরু হবে। আর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ছিটমহলবাসীর নাগরিকত্বের সমাধান হবে।
সোমবার বিকেলে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার দাশিয়ারছড়া ছিটমহলে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার দেলোয়ার বখত।
ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির কালিরহাট প্রধান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক এবিএম আজাদ, ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন মাহমুদ, ফুলবাড়ী থানার ওসি বজলুর রশীদ, ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি, বাংলাদেশ ইউনিটের সভাপতি মইনুল হক ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা প্রমুখ এতে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘প্রচারণা কার্যক্রমের আওতায় নাগরিকত্ব নির্ধারণে ছিটমহলগুলোতে প্রচারপত্র বিতরণ ও মাইকিং করা হবে। আগামী ৬ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময়ে যৌথ জরিপ দল ছিটমহলগুলোতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কেই নাগরিকত্ব পরিবর্তন করবেন কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হবেন। যারা নাগরিকত্ব পরিবর্তন করতে ইচ্ছা প্রকাশ করবেন তাদের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।’
ছিটমহলবাসীদেরকে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘ছিটমহলবাসীরা চাইলে তাদের মালপত্র ও গরু ছাগলসহ অন্যান্য প্রযোজনীয় জিনিস নিয়ে যেতে পারবেন। সে জন্য কোনো পাসপোর্ট করা লাগবে না । বুড়িমারী স্থলবন্দর ভুরুঙ্গামারী স্থলবন্দর দিয়ে যাওয়া আসার সুযোগ দেয়া হবে। তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন সহযোগিতা করবেন।’
বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, ‘আগামী ২২ জুন থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশের অভ্যন্তের থাকা ১১১টি ছিটমহলের কোনো সম্পত্তি বিক্রি করা যাবে না। এর পরেও যদি জমি বিক্রি কেউ করতে চান তাহলে ইউএনও অথবা জেলা প্রশাসকের অনুমতিক্রমে করা যাবে। তাছাড়া ছিটমহলে জমি জরিপের সময় প্রকৃত জমির ভোগদখলকারীদের চিহ্নিত করতে হবে।’
উল্লেখ্য, রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রামে ১২টি, লালমনিরহাটে ৫৯টি, নীলফামারীতে ৪টি এবং পঞ্চগড়ে ৩৬টি মোট ১১১টি ছিটমহল রয়েছে।