২০০৮
সালে ইতালির তত্কালীন সরকারের পতন ঘটাতে ঘুষ দেয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত
হয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনি। বুধবার নেপলসের
একটি আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
ক্ষমতা
থেকে অপসারিত বার্লুসকোনিকে সেইসঙ্গে আগামী পাঁচ বছর জনপ্রতিনিধি হিসেবে
কাজের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। আইনের মারপ্যাঁচে ৭৮ বছর বয়সী এই ধনকুবেরকে
জেল খাটতে না হলেও রোমানো প্রোদি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারকে হটানোয় যে
ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল, তা আদালতের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে।
ক্ষমতা
গ্রহণের দুবছরের মাথায় ২০০৮ সালে পতন ঘটে প্রোদি সরকারের এবং তারপর
নির্বাচনে মধ্য-ডানপন্থি জোট নিয়ে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরেছিলেন বার্লুসকোনি।
তখন প্রোদি সরকার থেকে বেরিয়ে যেতে সিনেটর সার্জিও দি গ্রেগেরিওকে ৩৩ লাখ
ইউরো বার্লুসকোনি ঘুষ দিয়েছিলেন বলে আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। ওই সিনেটর
আদালতে ঘুষ নেয়ার কথা স্বীকারও করেছেন।
এই
বিষয়ে আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, পুরনো এই মামলাটি আগামী ৬ নভেম্বরের পর
তামাদি হয়ে যাবে। তখন আর বিচারের কার্যকারিতা থাকবে না। আর তার মধ্যে
যেহেতু দণ্ডিতের আপিলের মীমাংসা সম্ভবপর নয়, সেহেতু দণ্ড ভোগ করতে হচ্ছে না
বার্লুসকোনিকে।
রায়ের
প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেনরি জন উডকক বলেন, 'ভালো একটি বিচার
হয়েছে। কিন্তু কারাদণ্ডের রায়টি কার্যকর হবে না, এটাই দুঃখজনক।'
বার্লুসকোনির
বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে। কর ফাঁকির মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন,
ইতালিতে ৭৫ বছরের বেশি বয়সীদের কারাদণ্ড দেয়া হয় না বলে তাকে বাধ্যতামূলক
সমাজসেবায় শ্রম দিতে হচ্ছে। তবে অপ্রাপ্তবয়স্ক এক মেয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক
স্থাপনের মামলায় খালাস পেয়েছেন বার্লুসকোনি। সূত্র: বিবিসি