বড় দুর্যোগ মোকাবেলা ও আর্থিক খাতের উন্নয়নে পৃথক দুটি প্রকল্পে ৪৭
কোটি ৩০ লাখ ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী যার
পরিমাণ ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এ সংক্রান্ত দুটি ঋণচুক্তি সই হয়েছে।
আর্থিক খাতের সহায়তা শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৩০ কোটি ডলার বা ২ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা এবং নগরের দুর্যোগ মোকাবেলা (আরবান রেজিলেন্স) শীর্ষক প্রকল্পে ১৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার বা ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক।
মঙ্গলবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত পৃথক দুই প্রকল্পের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন এবং বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ক্রিষ্টিয়ান ই কিমস সই করেন। এ সময় ইআরডি ও বিশ্বব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ক্রিষ্টিয়ান ই কিমস বলেন, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রস্তাবিত প্রকল্প দুটি সমৃদ্ধ এবং ঝুঁকিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করবে। এর মধ্যে আর্থিক খাতের সহায়তা প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানের ঋণের সক্ষমতা বাড়বে। যা আগামী দিনে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক দুর্যোগের ঝুঁকিমুক্ত করতে উপকূলীয় এলাকায় বন্যা এবং সাইক্লোন মোকাবেলায় ১২০ কোটি ডলার সহায়তা দিচ্ছে। এর পরও নগরে দুর্যোগ একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আর্থিক খাতের সহায়তা প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের রপ্তানি ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের সুবিধা সম্প্রসারণ, আর্থিক খাতের নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা শক্তিশালী হবে।
অন্যদিকে নগরের দুর্যোগ মোকাবেলা সংক্রান্ত প্রকল্পের আওতায় দুর্যোগকালীন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া, জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট স্থাপন, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে জরুরিভিত্তিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য সংশ্লিষ্টদের নিবিড় প্রশিক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বা উপকরণ ক্রয়সহ পরামর্শ সেবা গ্রহণ, ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট সেন্টার ও ওয়্যারহাউস নির্মাণ এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এটি বাস্তবায়ন করবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।
ইআরডি সচিব জানান, এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা মেট্রোপলিটন ডেভলপমেন্ট এরিয়া ও সিলেট মহানগরী এলাকায় ভূমিকম্পের মতো বড় দুর্যোগ বা জরুরি অবস্থা মোকাবেলা ও আপদকালীন উদ্ধার কার্যক্রম সফল ও কার্যকরভাবে পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাসমূহের দক্ষতা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে।
উল্লেখ্য, এ প্রকল্পের ঋণ ৩৮ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। এর মধ্যে ছয় বছরের গ্রেস পিরিয়ড রয়েছে। ঋণের সার্ভিস চার্জ .৭৫ শতাংশ। বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৩৩টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার ছাড় করেছে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এ সংক্রান্ত দুটি ঋণচুক্তি সই হয়েছে।
আর্থিক খাতের সহায়তা শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৩০ কোটি ডলার বা ২ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা এবং নগরের দুর্যোগ মোকাবেলা (আরবান রেজিলেন্স) শীর্ষক প্রকল্পে ১৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার বা ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক।
মঙ্গলবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত পৃথক দুই প্রকল্পের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন এবং বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ক্রিষ্টিয়ান ই কিমস সই করেন। এ সময় ইআরডি ও বিশ্বব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ক্রিষ্টিয়ান ই কিমস বলেন, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রস্তাবিত প্রকল্প দুটি সমৃদ্ধ এবং ঝুঁকিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করবে। এর মধ্যে আর্থিক খাতের সহায়তা প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানের ঋণের সক্ষমতা বাড়বে। যা আগামী দিনে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক দুর্যোগের ঝুঁকিমুক্ত করতে উপকূলীয় এলাকায় বন্যা এবং সাইক্লোন মোকাবেলায় ১২০ কোটি ডলার সহায়তা দিচ্ছে। এর পরও নগরে দুর্যোগ একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আর্থিক খাতের সহায়তা প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের রপ্তানি ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের সুবিধা সম্প্রসারণ, আর্থিক খাতের নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা শক্তিশালী হবে।
অন্যদিকে নগরের দুর্যোগ মোকাবেলা সংক্রান্ত প্রকল্পের আওতায় দুর্যোগকালীন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া, জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট স্থাপন, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে জরুরিভিত্তিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য সংশ্লিষ্টদের নিবিড় প্রশিক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বা উপকরণ ক্রয়সহ পরামর্শ সেবা গ্রহণ, ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট সেন্টার ও ওয়্যারহাউস নির্মাণ এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এটি বাস্তবায়ন করবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।
ইআরডি সচিব জানান, এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা মেট্রোপলিটন ডেভলপমেন্ট এরিয়া ও সিলেট মহানগরী এলাকায় ভূমিকম্পের মতো বড় দুর্যোগ বা জরুরি অবস্থা মোকাবেলা ও আপদকালীন উদ্ধার কার্যক্রম সফল ও কার্যকরভাবে পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাসমূহের দক্ষতা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে।
উল্লেখ্য, এ প্রকল্পের ঋণ ৩৮ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। এর মধ্যে ছয় বছরের গ্রেস পিরিয়ড রয়েছে। ঋণের সার্ভিস চার্জ .৭৫ শতাংশ। বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৩৩টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার ছাড় করেছে বিশ্বব্যাংক।