কীর্তনখোলায় তীব্র ভাঙনে চরকাউয়া বাজার বিলীন

S M Ashraful Azom
নগর সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর আকস্মিক ভাঙ্গনে পূর্ব প্রান্তের চরকাউয়া খেয়াঘাট ও ফেরিঘাটসহ বাজারের সিংহভাগ বিলীন হয়ে গেছে। এতদিন পশ্চিম তীরের বেলতলা ও চরবাড়িয়া পয়েন্টে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলেও গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে আকস্মিক ভাঙ্গন দেখা দেয় চরকাউয়া পয়েন্টে।
 
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে খেয়াঘাট ও ফেরিঘাটসহ মুদি-মনোহারি, ওষুধের ফার্মেসি, কনফেকশনারি, কাঁচা তরকারির দোকান, মাছের আড়ত্সহ প্রায় অর্ধশত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বেলা ১২টা পর্যন্ত বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বিকাল পর্যন্ত নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত ছিল। ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় হুমকির মুখে রয়েছে চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কমিউিনিটি ক্লিনিকসহ বেশ কয়েকটি  প্রতিষ্ঠান। চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ছবি বলেন, ভোরে আকস্মিক ভাঙ্গনে কিছু বুঝে উঠার আগেই মুহূর্তের মধ্যে খেয়াখাটের পল্টুন, বাজার ও সড়কসহ বিশাল এলাকা নদীগর্ভে দেবে গেছে। অনেকেই বাজারের দোকান রক্ষার চেষ্টা করার সুযোগ পাননি। যারা টের পেয়েছেন তারাও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। বাজার ও বাসস্ট্যান্ড নিয়ে পাকা সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
 
খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান বরিশালে সদ্য যোগদানকারী জেলা প্রশাসক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান। তিনি বলেন, নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। 
 
এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে কীর্তনখোলার ভাঙনে উপজেলার চরবাড়িয়ার সড়ক ও বসতবাড়ি বিলীন হচ্ছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বাস করছে বহু মানুষ। কীর্তনখোলা নদীর ভাঙ্গন ভয়াবহ রূপ ধারণ করায় চরম উত্কণ্ঠায় রয়েছেন নদীর দুই তীরের বাসিন্দারা।

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top