বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার ২৩০ পুলিশ সদস্যের পদোন্নতির জন্য ঘুষ সংগ্রহের অভিযোগে সাসপেন্ড হওয়া উপ-পুলিশ কমিশনার জিল্লুর রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ৫০ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন ।
ঘুষের জন্য তহবিল গঠন করার অভিযোগে বুধবার তাকে সাসপেন্ড করে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। এরআগে পদোন্নতির জন্য বড় কর্তাদের জন্য ঘুষ তহবিল গঠনের দায়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের তিন এএসআই, এক নায়েক ও ছয় কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বিএমপি সূত্রে জানা গেছে, বিএমপি’র সৃষ্ট প্রায় ২৩০ পদে পদোন্নতি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পদোন্নাতিপ্রত্যাশী পুলিশের প্রতি সদস্যের কাছ থেকে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে সংগ্রহ করা হয়। ইতোমধ্যে ৭৭ লাখ টাকার তহবিল গঠন করেন তারা। যার মধ্যে বিএমপির এএসআই আনিসুজ্জামান, নায়েক কবীর হোসেন ও চালক বাবলু মজুমদারের যৌথ হিসাব নম্বরে ১৭ লাখ টাকা পাওয়া যায়। বরিশালের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শাখায় ওই হিসাব নম্বর খোলেন তারা। বাকি টাকা বরিশালের এক পুলিশ কর্মকর্তার কাছে রয়েছে। চলতি সপ্তাহে এ ঘটনা প্রকাশ পেলে এনিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।