ইংলিশ মিডিয়াম
শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর আরোপিত মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও ট্যাক্স
প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। সেই সঙ্গে নতুন বাজেটে
এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের আয়কর সনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন)
নেয়ার বাধ্যবাধকতাও প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। গতকাল অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে
সাক্ষাত্ করে এসব দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল
অ্যাসোসিয়েশন।
অবশ্য
এসোসিয়েশনের দাবির বিষয়ে অর্থমন্ত্রী কোন সিদ্ধান্ত জানাননি। সাংবাদিকদের
তিনি বলেন, হ্যাঁ, তারা তাদের অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন। তাদের ভ্যাট ও
ট্যাক্স দিতে হয়। আমি তাদের কথা শুনেছি। তবে জানতাম না যে, দেশে ইংরেজি
মাধ্যমের স্কুলের এতটা বিকাশ হয়েছে।
সময় সংগঠনের সভাপতি মোরশেদুল ইসলাম ও জি এম নিজাম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
চলতি
২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের
বেতনের ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ এবং স্কুলের জন্য ব্যবহূত ভবন বা বাড়ি ভাড়ার ওপর ৯
শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। অন্যদিকে এসব স্কুলের (জাতীয় শিক্ষাক্রম যারা
অনুসরণ করেন না) শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়।
অর্থমন্ত্রীর
সঙ্গে সাক্ষাত্ শেষে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জি এম নিজাম উদ্দিন তাদের
দাবির বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ভ্যাট প্রত্যাহারের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী
আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করা হলে ইংরেজি
মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার খরচ কমে যাবে। আর ভ্যাট প্রত্যাহার না
করলে প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু বিত্তশালীদের সন্তানদের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।
কিন্তু আমরা এটা চাই না।