মুম্বাই
হামলায় আসামী ইয়াকুব দুই দিন কিছুই খাননি। তবে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার পর
মুরগির মাংস দিয়ে একটি রুটি খান। শেষ ইচ্ছা হিসেবে বলেছিলেন, 'আমি মরবই,
শেষবার একবার মেয়েকে দেখতে চাই'।
তবে
মেয়ের দেখা পাননি তিনি। কারাগার কর্তৃপক্ষ ইয়াকুবকে তার ভাইয়ের সাথে দেখা
করানোর পর টেলিফোনে মেয়ের সাথে কথা বলার ব্যবস্থা করে দেন। এ সময় কারাগার
কর্তৃপক্ষ ইয়াকুবকে খাওয়াতে তার ভাইয়ের কাছে অনুরোধ করেন।
৫৩
তম জন্মদিনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে রাত ৩টায় ঘুম থেকে তোলা হয় ইয়াকুবকে।
এর ১৫ মিনিট পর করানো হয় গোসল। গোসলের পর পরানো হয় নতুন পোশাক। এরই মধ্যে
তার জন্য খাবার নিয়ে আসা হয়। তবে জীবনের শেষ খাবার খেতে চাননি তিনি।
এর
পর দুই ঘণ্টা বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। সাড়ে ৫টার কিছু পরে ইয়াকুবকে
ফাঁসির রায় পড়ে শোনানো হয়। এরপর তওবা পড়ানো হয় তাকে। স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে
ডাক্তাররাও তাদের রায় জানিয়ে দেন। এর পর ভোর পৌনে ৬টার দিকে সেলের মধ্যে
ঘুরিয়ে সহ -বন্দিদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়। এসময় সহ-বন্দিদের মধ্যে কেউ
কেউ আবেগে ভেঙে পড়েন।
৬টা
২৫-এ তার সেল থেকে ২৫ পা দূরে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। ৬.৩৫-এ ফাঁসি
কাষ্ঠে ঝোলানো হয়। নিয়ম মেনে ৩০ মিনিট ঝুলিয়ে রাখার পর ৭টায় ডাক্তাররা মৃত
বলে ঘোষণা করেন। ২১ বছর জেলে থাকার পর এভাবেই ২৫৭ জনকে হত্যার দায়ে
ইয়াকুবের জীবনাবসান ঘটানো হয়। সূত্র: জিনিউজ, হিন্দুস্তান টাইমস।