বিএনপির
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, ভোটার
তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে ১৫-১৭ বছর বয়সীদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করার
মধ্যে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) খারাপ মতলব রয়েছে। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ
করেছেন, নির্বাচন কমিশন নারী ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করতে উত্সাহী নয়। আর এতে
ইসির ‘রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি’ আছে কি না তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
গতকাল সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ
উদ্বেগ প্রকাশ করেন রিপন।
রিপন
বলেন, এ ধরনের বিতর্কিত নির্বাচন কমিশনকে বহাল রেখে ভবিষ্যতে কোনো স্থানীয়
নির্বাচনেও কোনো বিরোধী রাজনৈতিক দল অংশ নেবে কি না, তার সংশয় থেকেই গেল।
নির্বাচন
কমিশনাররা পদত্যাগ না করলে তাদের অভিশংসনের উদ্যোগ নিতে রাষ্ট্রপতির প্রতি
আবেদন জানিয়ে রিপন বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন আইন বহির্ভূতভাবে ১৫-১৭
বছর বয়সীদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করার যে উদ্যোগ নিয়েছে– তাতে এ কমিশনের
একটি খারাপ মতলব রয়েছে। আগামীতে অনুষ্ঠেয় স্থানীয় পৌর ইউনিয়ন নির্বাচনে
জালিয়াতি করার একটি নীলনকশা এতে থাকতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করি। রিপন
বলেন, সংবিধান অনুযায়ী ১৫-১৭ বছর বয়সীদের কোনোভাবেই ভোটার হিসেবে নিবন্ধন
করার সুযোগ নেই। রিপন দাবি করেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম
পরিকল্পনার পেছনে আগামী পৌরসভা ও ইউনিয়ন নির্বাচনে সরকারি দলকে সুবিধা
দেয়াই নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্য।
রিপন
বলেন, নির্বাচন কমিশন এ বছরের শেষপ্রান্তে অনুষ্ঠেয় প্রায় তিনশ’ পৌরসভা
নির্বাচন ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সামনে রেখে ভোটার তালিকা হালনাগাদের
একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা নির্বাচন কমিশনের
একটি রুটিন কাজ হলেও এই আজ্ঞাবহ, অযোগ্য ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন ভোটার
তথ্য হালনাগাদের কাজটি অতীতেও সুষ্ঠুভাবে করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
নারী
সমাজ যতবার নির্বিঘ্নে, ভয়-ভীতিমুক্ত হয়ে অবাধে ভোট দিতে পেরেছেন, ততবার
বিএনপি দেশের শাসনভার পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে দাবি করে রিপন বলেন, এ
বিষয়টি অনুধাবন করে সম্ভবত আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন নারী ভোটারদের তথ্য
সংগ্রহে খুব বেশি উত্সাহী নয় এবং এ হার কমে গেলেই বোধহয় তারা খুশি হন।