কম বয়সে চুল পড়া সমস্যা

S M Ashraful Azom
ক্লান্তি, অবসাদ, ভুল ডায়েটসহ বিভিন্ন কারণে খুব কম বয়সেই চুল পড়তে পারে। বিশেষজ্ঞরা স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন গড়ে মানুষের একশোটির মতো চুল পড়ার কথা বলে থাকেন। কিন্তু এর চেয়ে বেশি পড়লে সেটি চিন্তার কারণ হতে পারে।
 
অতিরিক্ত চুল পার লক্ষণ দেখা দিলে আগে থেকেই সতর্ক হতে হবে। শুরু থেকেই যত্ন না নিলে কিন্তু মাথায় টাক পড়তে বেশি সময় লাগবে না। সঠিক কারণগুলি জানা থাকলে তবেই আপনি চুল পড়ার সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন। এবার জেনে নেয়া যাক, কি কি কারণে আপনি চুল পড়া সমস্যায় ভুগতে পারেন।
 
* ক্লান্তি ধীরে ধীরে আমাদের শরীরের নানা ক্ষতি করে। চুল পড়াতেও অনুঘটক হিসাবে কাজ করে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি।
 
* মাতৃত্বের কারণে অনেক নারীরই চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। যদিও বেশিরভাগ মায়েদের ক্ষেত্রেই সন্তান জন্মের তিনমাস পর মাথায় ফের চুল গজায়। তবে কারো কারো সমস্যা হলে চিকিত্সকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
 
* শরীরে ভিটামিন এ-র অভাব হলে তা মাথার চুল ঝরতে শুরু করে।
 
* প্রোটিন শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। শরীরে প্রোটিনের অভাব হলেই চুল পড়ার সমস্যা হয়।
 
* অনেকে বংশগতভাবে চুল পড়ার শিকার হন। তবে তেমন শতাংশে অনেক কম।
 
* হরমোনের কারণে অনেকের হরমোনজনিত কারণে কমবয়সে চুল পড়ে যায়।
 
* শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হয়। চুল পড়া ছাড়াও চামড়া খসখসে হওয়া, উজ্জ্বলতা হারানো, দুর্বলতা, মাথাধরা ইত্যাদি সমস্যা হয়।
 
* থাইরয়েডের সমস্যা হলে চুল পড়ার পাশাপাশি মাংসপেশিতে টান, শরীরের ওজন বেড়ে যায়।
 
* ভিটামিন বি-র অভাবেও চুল পড়তে পারে। শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি কমাতে ডিম, শাক-সবজি ও মাছ খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে।
 
* বেশিমাত্রায় শরীরচর্চা ও ডায়েট কন্ট্রোল করাও চুল পড়ায় ইন্ধন যোগায়।
 
* মেডিকেসন চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া অভ্যাস করলে, কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় চুল পড়ে যায়।

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top