ফিলিস্তিনের পশ্চীম তীরের একটি বাড়িতে শুক্রবার সকালে ইহুদি চরমপন্থীদের দেওয়া আগুনে ১৮ মাস বয়সী এক ফিলিস্তিনী শিশু নিহত হয়েছে। একই ঘটনায় ওই শিশুর বড় ভাই ও বাবা-মা আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলী পুলিশ। খবর আলজাজিরা ও বিবিসির।
ইসরায়েলী পুলিশ জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের কাফার দৌমা গ্রামে একটি বসতবাড়িতে আগুন দেয় চরমপন্থী ইহুদিরা। পরিবারের সদস্যদের ঘুমন্ত অবস্থায় দেওয়া ওই আগুনে এক শিশু নিহত ও তার পরিবারের অন্য তিন সদস্য আহত হয়েছে।
হামলাকারীরা নিকটস্থ দেওয়ালে এটাকে হিব্রুর ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে লিখে যায়।
ইসরায়েলী পুলিশের নারী মুখপাত্র লুবা সামরি বলেন, ‘এ হামলার পেছনে জাতীয়তাবাদী মতবাদ কাজ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
হামলার ঘটনার পরপরই এক বিবৃতিতে এটাকে ‘বর্বরোচিত’ ও ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে ইসরায়েলী সেনাবাহিনী। তারা এ ঘটনার তদন্ত ও জড়িতদের ধরে বিচারের সম্মুখীন করতে অভিযান চালাচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর আহত বাবা তার স্ত্রী ও চার বছর বয়সী ছেলেকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও ছোট ছেলেকে জীবিত উদ্ধার করতে পারেননি।
নাবলুসের রাফিদিয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দগ্ধদের শরীরের প্রায় ৭৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
আগুনের ঘটনায় পার্শ্ববর্তী আরেকটি বাড়িও পুড়ে গেছে।
পশ্চিম তীরের অধিকৃত অঞ্চলে ফিলিস্তিনীদের ওপর প্রায়ই হামলা চালিয়ে থাকে অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিরা। জাতিসংঘের তথ্যমতে, ওই অঞ্চলে ২০১৫ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ফিলিস্তিনীদের ওপর অন্তত ১২০টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।