এই কিছুদিন আগেও
বার্সেলোনার এক প্রতিপক্ষ দলের কোচ বলছিলেন, মেসিকে বন্দুক ছাড়া আটকানোর
কোনো উপায় তিনি দেখেন না। সাংবাদিকদের কাছে প্রস্তাবও দিয়েছিলেন, মেসিকে
আটকাতে বন্দুক নিয়ে গেলে কেমন হয়! বাংলাদেশের কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে অমন
হিংস নন। তিনি বন্দুক নন; প্রার্থনা দিয়ে আটকাতে চাইছেন এই সময়ের
‘ক্রিকেটের লিওনেল মেসি’ এবি ডি ভিলিয়ার্সকে। অবিশ্বাস্য ফর্ম, উদ্ভাবনী সব
শট আর আগ্রাসী ব্যাটিং দিয়ে আক্ষরিক অর্থেই এখন ক্রিকেটের মেসি হয়ে উঠেছেন
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান ডি ভিলিয়ার্স। উইকেটে শুয়ে, বসে, উল্টো দিক
ফিরে নানাবিধ শট করতে থাকায় লোকে তাকে ‘তিন শ ষাট ডিগ্রি ব্যাটসম্যান’ও
বলছে।
ব্যাটিংয়ে
ডি ভিলিয়ার্স, মিলার, ডি কক, ডু প্লেসিস, ডুমিনিরা আছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার
ফাস্ট বোলিংও তেমন ভয়ানক। তবে বাংলাদেশ কোচ মনে করেন, ফাস্ট বোলিং সামলাতে
তারা যে ধরনের ট্রেনিং করছেন, সেটা চালিয়ে যাওয়াই শ্রেয়, ‘আমরা তো আর ওদের
বলের গতি কমিয়ে দিতে পারবো না। আমরা অন্যান্য সিরিজের জন্য যেভাবে
প্রস্তুতি নেই, তাই নেবো। বিশ্বকাপে দ্রুতগতির উইকেটে, ফাস্ট বোলারদের
খেলাটা আমাদের জন্য বিশেষ চ্যালেঞ্জের ব্যাপার ছিলো। আমরা সে সময় যে
ট্রেনিং নিয়েছিলাম, তাই নিচ্ছি; কারণ সেটা কাজে দিয়েছিলো।’
গতকাল
ডি ভিলিয়ার্সের প্রসঙ্গ উঠতেই বাংলাদেশের কোচ বিরাট মজা করে নিজেদের
অসহায়ত্বের কথা বললেন, মানবিক ভুল করাটাই এখন তার কাছ থেকে আশা, ‘এবির জন্য
আমাদের পরিকল্পনা হলো, ওকে বল করা এবং সবাই মিলে প্রার্থনা করা যে, ও যেন
আউট হয়ে যায়। সত্যি বলি, ও এখন সম্ভবত বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। এসব খেলোয়াড়কে
নিয়ে বেশি পরিকল্পনা করা যায় না। আমাদের সেরা বল করতে হবে এবং চেষ্টা করতে
হবে ওকে ঠেকানোর। মনে রাখতে হবে, ও একজন মানুষ; আশা করি মানবিক ভুলগুলো
করবে এখানে।’
শুধু
ডি ভিলিয়ার্স নয়, দল হিসাবেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে এ যাবত্ বাংলাদেশের হয়ে
যাদের সামলেছেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক প্রতিপক্ষ বলে ঘোষণা দিয়ে দিলেন।
এই প্রথম প্রতিপক্ষকে পরিষ্কার ফেবারিট বলছেন বাংলাদেশের কোচ, ‘দক্ষিণ
আফ্রিকা সত্যিই, সত্যিই দীর্ঘকাল ধরে সব ফরম্যাটের সেরা দল। তারা দীর্ঘদিন
ধরে সবচেয়ে ধারাবাহিক দল। আমি তো তাদের বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দল মনে
করি। আমি ওদের ফেবারিটই বলছি; এটা আমি কোনো দল সম্পর্কে বলি না। ওরা খুব
শক্ত দল।’