বাগেরহাটে ব্যাংকে হাজারের বান্ডেলে একশ টাকার নোট

S M Ashraful Azom
ব্যাংক থেকে ব্যাংকে সরবরাহ করা এক হাজার টাকার দশটি বান্ডেল এক শ আঠেরোটি একশত টাকার নোট পাওয়া গেছে। এ কারণে ১০ লাখ টাকার ওই প্যাকেটে এক লাখ ছয় হাজার ২০০ টাকার ঘাটতি হয়েছে।
 
রবিবার সোনালী ব্যাংক প্রধান শাখা থেকে রূপালী ব্যাংক বাগেরহাট শাখায় সরবরাহ করা টাকায় এই গড়মিল ধরা পড়েছে।
 
রূপালী ব্যাংক বলছে, সোনালী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট ক্যাশ কর্মকর্তাসহ ওই ব্যাংকে কর্মরত একটি অসাধু চক্র পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
 
এদিকে দুপুরের পর থেকে বিভিন্নভাবে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ব্যাংক পাড়া হয়ে বিভিন্ন ব্যাংকের গ্রাহকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। এতে গ্রাহকদের মাঝে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে।
 
সোনালী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনার কোন সুরাহা করতে পারেনি।
শহরের রাহাতের মোড়ে অবস্থিত রূপালী ব্যাংক বাগেরহাট শাখার জুনিয়র অফিসার (ক্যাশ) আব্দুল কাদের এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘রবিবার শিক্ষকদের বেতন-বোনাস প্রদানের জন্য ব্যাংকে বড় ধরনের টাকার চাহিদা তৈরি হয়েছিল। সকাল ১১টার দিকে তিনি তার শাখার জন্য পঞ্চাশ লাখ টাকা রেমিটেন্স আনতে শহরের রেলরোডে অবস্থিত সোনালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ে যান। সেখান থেকে তাকে দেয়া পঞ্চাশ লাখ টাকা নিয়ে তিনি ও ব্যাংকের প্রহরী আব্দুস সাত্তার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ ব্যাংকে ফিরে আসেন। ক্যাশে টাকা বের করে গণনার সময় একটি প্যাকেটের দশটি বান্ডেলের প্রত্যেকটিতে ১১৮টি এক শ টাকার নোট পাওয়া যায়। এ কারণে ওই বান্ডেলে এক লাখ ছয় হাজার ২০০ টাকা ঘাটতি থাকে।’
 
রূপালী ব্যাংকের ওই শাখার ক্যাশ অফিসার শাম্মী ফারহানা বলেন, ‘সোনালী ব্যাংক থেকে আনা টাকার বান্ডেল গুণার সময় তার চোখে এ অসামঞ্জস্যতা ধরা পড়ে। টাকার বান্ডেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের শটিং ব্যান্ড ও ক্যাশ লেবেল লাগানো ছিলো।’
 
এদিকে রূপালী ব্যাংক  বাগেরহাট শাখা ব্যবস্থাপক এসএম হাবিবুর রহমান কারো নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘সোনালী ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বিষয়টি তিনি তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলে জানান।’
 
তবে সোনালী ব্যাংকের ক্যাশ ইনচার্জ আবুল খাযের মো. নূরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top