প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস শর্তযুক্ত ঋণের ব্যাপারে জনগণের ইচ্ছা জানতে গণভোটের ব্যবস্থা করেন। তিনি নিজেই দাতাদের শর্ত না মানতে ‘না’ ভোট দিতে আহ্বান জানান এবং গ্রিসের সাধারণ মানুষও সিপ্রাসের প্রতি সমর্থন জানায়। কিন্তু দাতাদের অধিকাংশ শর্ত মেনে নিয়ে পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাশের পর প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি গণভোটের ফলাফল গুরুত্বহীন?
এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে গ্রিসবাসীসহ বিশ্বের তাবৎ অর্থনীতিবিদদের মধ্যে। কারণ গণভোটে গ্রিসের মানুষ যে ঋণপ্রস্তাবের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে, সেটাকেই এখন উপেক্ষা করা হচ্ছে। সিপ্রাস দাতাদের শর্ত মেনেই তার ঋণ প্রস্তাব পার্লামেন্টে অনুমোদনও করে নিয়েছেন। জনগণ ‘না’ বললেও জনগণের প্রতিনিধিরা দাতাদের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ এর রায় দিয়েছে গত শুক্রবার।
অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটাতে পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য সংস্কার প্রস্তাবের পক্ষেই মত দেন। পার্লামেন্ট অধিবেশনে গভীর রাত পর্যন্ত দীর্ঘ আলোচনার পর ২৫১ জন এমপি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। তবে প্রধানমন্ত্রী সিপ্রাস তার নিজ দলেরই কয়েকজন এমপির ভোট পেতে ব্যর্থ হয়েছেন।
তিনি স্বীকার করেছেন, এই প্রস্তাবে এমন অনেক কিছুই রয়েছে, যা তার নির্বাচনী অঙ্গীকারের মধ্যে ছিল না। সরকার অর্থনৈতিক বিপর্যয় এড়াতে ইউরোজোনের দাতাদের কাছে সংস্কার প্রস্তাব পাঠিয়েছে। প্রস্তাবে কর বৃদ্ধি, বেসরকারিকরণ এবং পেনশন বিষয়ে নতুন বিধিসহ আরো বেশ কিছু বিষয় রয়েছে। অথচ বুধবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে সিপ্রাসের বক্তৃতা দেয়া সময় পর্যন্তও বিষয়টি স্পষ্ট ছিল না।
ফলে সিপ্রাস ও তার বামপন্থী দল যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল সেখান থেকে তাদের বিচ্যুতি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে।