সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দুই মাস পাঁচ দিন লন্ডনে কাটিয়ে শনিবার বিকেলে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিকাল পাঁচটায় অ্যামিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে ঢাকায় অবতরণ করেন তিনি।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর চোখ ও পায়ের চিকিত্সা এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। ওখানে তিনি তার বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ওঠেন। সেখানেই কোরবানির ঈদ কেটেছে তার। লন্ডন বিএনপির আয়োজনে দুটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি বক্তব্যও দিয়েছেন, সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। এর মধ্যে তিনি চোখের অপারেশন করিয়েছেন। পায়ের চিকিত্সকও দেখিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার আবেদন বিএনপির
শুক্রবার বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন এক বিবৃতিতে বেগম খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপ্রতুল হওয়ায় তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদারে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
নতুন করে সাজানো হয়েছে গুলশান কার্যালয়
এদিকে, খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা উপলক্ষে গুলশান কার্যালয় নতুন করে সাজানো হয়েছে। ভবনে চুনকামসহ বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। নিরাপত্তা বেষ্টনীতেও লাগানো হচ্ছে রং। কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) দেশে আসছেন। তিনি দীর্ঘদিন কার্যালয়ে আসেননি। তাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। ইতিপূর্বে নিরাপত্তা প্রাচীরের ওপর কাটাতারের জাল দেয়া হয়েছে।’
৩০ নভেম্বর আত্মসমর্পণ করবেন খালেদা জিয়া
নাইকো দুর্নীতি মামলায় আগামী ৩০ নভেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জানান, তিনি দেশে ফিরে ৩০ নভেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন।

