দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজেও এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চার উইকেটের জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। এর আগে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে সফরকারীরা।
ম্যালকম ওয়ালারের ৬৮ রানে ভর করে বাংলাদেশকে ১৩২ রানের লক্ষ্য দেয় জিম্বাবুয়ে। জবাবে চার উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় মাশরাফিরা। ব্যাট হাতে তামিম ইকবাল সর্বোচ্চ ৩১ রান করেছেন।
সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই রান আউট হন দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা এনামুল হক বিজয়। ব্যক্তিগত ১ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর তামিম ইকবালের সঙ্গে ৩৯ রানের জুটি গড়ে আউট হন সাব্বির রহমান। চিজোরোর বলে আরভিনের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। দলীয় ৫৪ রানের মাথায় মুশফিকুর রহিম আউট হলে কিছুটা চাপ তৈরি হয় স্বাগতিকদের ওপর। পরে নাসির হোসেন ও তামিম ইকবালের ২৫ রানের জুটিতে জয় দেখতে থাকে বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও লক্ষ্য ছোট হওয়ায় জয় পেতে সমস্যা হয়নি টাইগারদের। জিম্বাবুয়ের পক্ষে গ্রায়েম ক্রেমার তিনটি উইকেট নিয়েছেন।
শুক্রবার সিরিজের প্রথম ম্যাচে ঢাকা মিরপুর শেরে-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। নিজের সিদ্ধান্তের যথার্থতা নিজেই প্রমাণ করেন। দলীয় ১০ রানের মাথায় তিন উইকেটের পতন হয় জিম্বাবুয়ের। একে একে সাজঘরে ফেরেন সিকান্দার রাজা, রেজিস চাকাভা ও এলটন চিগুম্বুরা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোচট খায় সফরকারীরা। দলীয় ৪ রানের মাথায় মাশরাফির বলে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন সিকান্দার রাজা। দলীয় স্কোরে ৪ রান যোগ হতে না হতেই আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রেজিস চাকাভা বিদায় নেন। আল আমীন হোসেনের বলে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক চিগুম্বুরাকে শূন্য রানে বিদায় করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি। এতে বড় ধরনের চাপে পড়ে সফরকারীরা।
এরপর সেন উইলিয়ামস ও আরভিনের ২৮ রানের জুটিতে প্রাথমিক দখল সামাল দেয় সফরকারীরা। এরপর আরভিন ও ওয়ালারের ৬৭ রানের জুটিতে ভর করে শতক পেরোয় জিম্বাবুয়ে।
এর আগে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।