
নানা শঙ্কা, জটিলতা পার করে গত ২২ নভেম্বর মাঠে গড়িয়েছিলো খেলা। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে ব্যাটে-বলে লড়াই হয়েছে। বোলারদের উত্থান হয়েছে নতুন করে। মাঠের বাইরে ছোটখাটো কিছু ব্যাপার দৃষ্টি কেড়েছে। অনেক হাসি-কান্নার গল্প লেখা হয়েছে ২২ গজের উইকেটে। সব কিছু সাঙ্গ করে এবার ট্রফি নিয়ে উল্লাস করার পালা। এবার নতুন চ্যাম্পিয়ন বরণ করে নেয়ার পালা।
আজ সন্ধ্যে সাড়ে ছয়টায় এই নতুন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে পরস্পরের মুখোমুখি হবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও বরিশাল বুলস। দুই দলের জমজমাট ফাইনালের প্রতিশ্রুতির ভেতর দিয়েই পর্দা নামতে যাচ্ছে তৃতীয় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল)। চলতি বিপিএলের একেবারে শুরুতে ফিরে গেলে এই দু দলকে ফাইনালে কল্পনা করা কঠিন ছিলো। গেইলের আসার সম্ভাবনায় বরিশাল মোটামুটি শক্তিশালী দল ছিলো। কিন্তু কুমিল্লা ছিলো সত্যিকারের ‘আউটসাউডার’। দলে মাশরাফি বিন মুর্তজা ছাড়া তেমন কোনো বড় তারকা নেই। বিদেশি যারা আছেন, তারাও যার যার দেশের মাঝারি পারফরমার। এমনকি কোচও বড় তারকা নন। এরপর আবার দলটির শত্রু হয়ে ওঠে একের পর এক ইনজুরি; খোদ অধিনায়ক মাশরাফি ইনজুরিতে টানা তিন ম্যাচ বল করতে পারেননি।
বিপরীতে এক ঝাঁক দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়, তারকা কোচ নিয়ে দল করেছিলো অনেকেই। কিন্তু সবাইকে হতাশ করে দিয়ে এবং চমকে দিয়ে সেই কুমিল্লা সবার আগে চলে যায় ফাইনালে। ১০ ম্যাচে ৭ জয় নিয়ে কোয়ালিফায়ারে এসেছিলো তারা। সেখানে রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে ফাইনাল।
বিপরীতে বরিশাল বুলসের এই যাত্রাপথটা একটু ভিন্ন ছিলো। ক্রিস গেইলকে ছাড়াই ৫ ম্যাচের মধ্যে ৪টি জিতে দারুণ করছিলো দলটি। হঠাত্ একটু ছন্দ হারিয়ে ফেলার পর আবার গেইল ঝড় এবং শেষ অবদি তারাও ৭ জয় নিয়ে গ্রুপপর্ব শেষ করলো। তবে রানরেটে পেছনে থাকায় পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় দল হিসেবে খেলতে হলো এলিমিনেটর। সেখানে ঢাকা ডিনামাইটসকে বিদায় করে দেয়ার পর সামনে পড়লো রংপুর। শেষ ম্যাচে সাব্বির রহমান রুম্মনের প্রবল প্রতাপে রংপুরকেও বিদায় করে ফাইনালে এখন বরিশাল।
আজ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মুখোমুখি দু দল। দেখার অপেক্ষা দেশের কোন অঞ্চল আজ বিপিএল উত্সবে মাতে।
