
সোমবার মেলায় ঘুরে দেখা গেছে, এখনও দুয়েকটি স্টলে সাজগোছের কাজ চলছে। তবে কথা বলে জানা গেল, আজই কাজ শেষ। আগামীকাল থেকে স্টল সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এছাড়া অন্য স্টলগুলোতে থরে থরে সাজানো হয়েছে বাহারি পণ্য। বিক্রেতারা তাদের পণ্যে নানা রকম ছাড় ও অফার দিয়েছেন। ক্রেতা আকর্ষণ করতে নানা পদক্ষেপও নিয়েছেন তারা। মেলার গেট দিয়ে ঢুকতেই বিভিন্ন স্টলের পণ্যের ছাড় ও অফার সংবলিত লিফলেট ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া কেন্দ্রীয় সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমেও প্রচার করা হচ্ছে নানা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন।
মেলায় অংশ নেয়া দোকানিরা বলছেন, মেলার প্রথম দুই দিন দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি। ছুটির দিন হওয়ায় অনেকেই মেলায় এসেছেন। এখন অফিস-আদালত খোলা থাকায় ক্রেতাদের ভিড়ও কমে গেছে। তবে যারা আসছেন তাদের মধ্যে পণ্য কেনার চেয়ে এর গুণগত মান ও দর দাম যাচাই করছেন বেশি। মাসের শুরু হওয়ায় এখনও ক্রেতাদের হাত কিছুটা ফাঁকা। কয়েকদিনের মধ্যেই বেচাকেনা পুরোদমে জমে উঠবে বলে মনে করেন দোকানিরা।
বেঙ্গল প্লাস্টিকের প্যাভিলিয়নে দর্শনার্থী খাদিজা তাহিরার সঙ্গে কথা হলো। তিনি জানান, মেলার পরিস্থিতি দেখার জন্য তিনি এসেছেন। কোন পণ্যে কি ধরনের ছাড় বা অফার রয়েছে সেগুলো বিবেচনা করে কি কেনা যায় তা ঠিক করবেন, আগামী সপ্তাহে আসবেন কিনতে। আগে থেকে সব দেখে গেলে কেনাকাটায় সুবিধা হয়। তবে মেলায় আসা ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কিছু কিছু স্টলে পণ্যের দাম তুলনামূলক বেশি। কিছু কিছু পণ্যের গুণগত মানও ভাল ন। তাছাড়া মেলায় আসার ক্ষেত্রে অনেককে ঝামেলা পোহাতে হয়। পশ্চিম পাশের রাস্তা দিয়ে (শেরে বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে) মেলার গেটে আসার সময় রিকশা ঢুকতে দেয়া হয় না। তবে ১০ টাকা দিলেই দেদার ঢুকতে দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চান দর্শনার্থীরা।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উম্মুক্ত থাকবে। মেলায় প্রবেশমূল্য প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৩০ টাকা ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।