
এর আগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিভাগের সামনে থেকে একটি প্রতিবাদ র্যালি বের হয়। পরে বেলা ১১টায় বিভাগের ৪১২ নম্বর কক্ষে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভাগের দুই শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুবয়ারি রাতে অধ্যাপক ড. তাহের বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার পশ্চিম ২৩/বি বাসা থেকে নিখোঁজ হন। পরে ৩ ফেব্রুয়ারি সকালে বাসার পিছনের সেফটিক ট্যাঙ্ক থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীরকে আটক করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৭ ফেব্রুয়ারি ড. তাহেরের সহকর্মী জামায়াতপন্থী শিক্ষক মিয়া মো. মহিউদ্দিনকে আটক করে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ড. তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভী নগরীর মতিহার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৮ মার্চ মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক আহসানুল কবির জামায়াতপন্থী শিক্ষক মিয়া মহিউদ্দিন ও তৎকালীন রাবি শিবির নেতা মাহবুবুল আলম সালেহীসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
পরে ২০০৭ সালের ৩ জুলাই রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে হত্যা মামলার বিচার কাজ শুরু হয়। ২০০৮ সালের ২২ মে আদালত জামায়াতপন্থী শিক্ষক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, বাড়ির কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীরের ভাই শিবির কর্মী আব্দুস সালাম, নাজমুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডেদেশ দেয় আদালত। অভিযোগপত্রের অন্য দুই আসামী তৎকালীন রাবি শিবির সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও জাহাঙ্গীরের বাবা আজিমুদ্দিনকে বেকসুর খালাস দেয়।
এরপর ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে। এছাড়া রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলও করেন আসামিরা। ৫ বছর পর ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মামলার আপিল শুনানি শুরু হয়। ওই বছরের ২১ এপ্রিল আপিলের রায়ে দু’জন মৃত্যুদণ্ডেদেশ বহাল রেখে অন্য দু’জনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
তবে অভিযোগ পত্রে উল্লিখিত আসামিদের দুজন খালাস পেয়ে যাওয়ায় এবং দুজনের সাজা কমানোয় ড. তাহেরের পরিবারের পক্ষ থেকে আবার উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়। কিন্তু ৩ বছর পার হয়ে গেলেও এখনো আপিলের নিষ্পত্তি হয়নি। ফলে বিচারের রায় কার্যকরও সম্ভব হয় নি।