কুড়িগ্রাম পুস্তক ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন

G M Fatiul Hafiz Babu
0

সেবা ডেস্ক: 

ডাঃ জিএম ক্যাপ্টেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি ঃ

প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন-২০১৬’র কয়েকটি ধারা ও উপধারা সংশোধনের দাবিতে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি (বাপুস) কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাপুস, কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আহব্বায়ক ক.এম বদরুল আহসান মামুন এর সভাপতিত্বে গতকাল রোববার সকাল ১১ ঘটিকায় শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে পুস্তক ব্যবসায়ীরা মুখে কালো বেধেঁ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। সেই সাথে সারা দেশের ন্যায় কুড়িগ্রাম জেলায় একযোগে সকল বইয়ের দোকান (লাইব্রেরী) বন্ধ রেখে ধর্মঘট পারন করে। প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনে নোট ও গাইড বইয়ের যে সংজ্ঞা দেওয়া আছে, তা বাস্তবসম্মত নয় বলে মনে করে বাপুস।

এ জন্য নোট ও গাইড বইয়ের সংজ্ঞা এবং এর পরিপেক্ষিতে শাস্তির যে ধারা আছে, তা বাতিল করতে হবে। প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনে বেশ কিছু ধারা-উপধারা রয়েছে, যেগুরো বাস্তাবায়িত হলে পুস্তক প্রকাশনা সহ এর অনুসঙ্গ হিসাবে কাগজ শিল্প, মুদ্রণ ও বাধাঁইশিল্প চরম হুমকির মখে পড়বে।

খসড়া আইনে বলা হয়েছে জাতীয় াশক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কতৃর্ক পান্ডুলিপি অনুমোদন নিয়ে প্রকাশকরা কেবল শিক্ষা উপকরন বা সয়াহক পুস্তক বা ডিজিটাল শিখন-শেখানো সামগ্রী প্রকাশ করতে পারবেন।

 তবে তারা কোন নোট গাইড প্রকাশ করতে পারবেন না। কিন' বর্তমান শিক্ষার পরিধি যেভাবে বিস্তৃত হয়েছ সেই হিসেবে এনসিটিবি প্রণীত পুস্তকগুলোতে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়নি, বাংলাদেশের পেক্ষাপটে এটি সম্ভব নয়।

কাজেই শিক্ষার্থিদের উন্নত শিক্ষার তাগিদে সহায়ক বইয়ের প্রয়োজনীয়তা অনেক। প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন ২০১ তে বলা হয়েছে , শিক্ষার্থীদের মূল পাঠ্যপুস্তকে উৎসাহ হারানো এবং সৃজনসীলপ্রতিভার বাধাঁগ্রস' হওয়ার কারণে এনসিটিবি এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া যেকোন সহায়ক বই অর্থাৎ নোট ও গাইড বই প্রকাশ করা যাবে না।

এনসিটিবি প্রণয়নকৃত পুস্তক ব্যতিত কোন পুস্তক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্যসূচিতে অন্তরভূক্ত করা যাবে না। কোন ব্যক্তি এই বিধান লঙ্গন করলে এই আইনের অধীনে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এই অপরাদের জন্য তিনি অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদন্ড অথবা ছয় মাসের কারাদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে। মূলত এই ধারাগুলোই বাতিল অথবা সংশোধনের দাব করছে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি।

 সেই সাথে বাপুস মনে করে প্রস্তাবিত আইনে এনসিটিবিকে প্রকারান্তরে একক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এবং ক্ষেত্রবিশেষ নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান হিসাবে ঘোষনা করা হয়েছে। কাজেই আমরা মনে করি এনসিটিবিকে শুধু কারিকুলাম প্রণয়ন ও গবেষণা কাজে নিয়োজিত রেখে বই প্রকাশের দায়িত্ব বেসরকারি প্রকাশবদের হাতে রাখাই অধিক যুক্তিযুক্ত।


কুড়িগ্রাম জেলায একযোগে সকল বইয়ের দোকান (লাইব্রেরী) বন্ধ রেখে পুস্ক ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট পালনের মদ্য দিয়ে প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন -২০১৬’র কয়েকটি ধারা ও উপধারা সংশোধনের দাবিতে বাপুস, কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আহব্বায়ক কে.এম বদরুল আহসান মামুন এর সভাপতিত্বে গত রবিবার ১০ এপ্রিল মুখে কারো কাপর বেধেঁ মানব বন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে বাপুস, কুড়িগ্রাম জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ দেশের প্রায় ২৫ লাখ মদ্রণ শিল্পের সাথে যুক্ত শ্রম জীবি মানষের কর্মসংস'ান বাধাঁগ্রস' না করতে অবিলম্বে দাবী বাস্তবায়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এর নিকট জোড় দাবি জানিয়েছেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপসি'ত ছিলেন বাপুস, কুড়িগ্রাম জেলার শাখার সদস্য সচিব মোঃ আল-আমিন সরকার, নীতিমালা স্ট্যাডিং কমিটির সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ (স্বপন), সিনিয়র সদস্য কে.এম মমিনুর রহমান ফরহাদ, বাপুস উলিপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সালেহ আহম্মেদ, বাপুস রাজারহাট উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ রমজান আলী, সাধারন সম্পাদক মোঃ মসিউর রহমান, বাপুস ভূরুঙ্গামারী উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক এবিএম রুহুল রব্বানী ও বাপুস ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক আবুল হোসেন প্রমুখ।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top