সেবা ডেস্ক: বাজারে হরেক রকম ফলমূল, গরম বাতাস ও সন্ধ্যায় ঝড়ো হাওয়া প্রকৃতির এমন লীলাখেলাই জানান দেয় এখন গ্রীষ্মকাল। এ সময়টায় বাজারে তরমুজ, বেল, ডাব, বাঙ্গিসহ বিভিন্নরকম মৌসুমী ফলমূল পাওয়া যায়। এগুলো খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি ব্যাপক পুষ্টিসমৃদ্ধ। এই ভ্যাপসা গরমে একটু সচেতন হয়ে খাবার খেলে অনেক শারীরিক সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারি। গ্রীষ্মের এ প্রচণ্ড তাপদাহে আমাদের কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত। কিছু ফলমূলের উপকারিতা দেয়া গেল--
বেল
বেলের অনেক গুন। কাচা বেল পুড়িয়ে বা সিদ্ধ করে খেলে হজম শক্তি বাড়ে এবং সকালে খালি পেটে খেলে বায়ু ও পেটের অসুখ ভালো হয়।
পেঁপে
পাকা পেঁপে কোষ্ঠ পরিষ্কার করে,বায়ু নাশ করে। বদহজমের রোগীরা পেঁপে খেলে উপকার পাবে।কাঁচা পেঁপের আঠা বীজ ক্রিমিনাশক, প্লীহা ও যকৃতের পক্ষে হিতকারি। প্রতিদিন সকালে কাঁচা পেঁপের আঠা ৫-৭ ফোটা করে বাতাসার সঙ্গে খেলে অর্শের রক্ত পড়া বন্ধ হয়।
তরমুজ
তরমুজের শরবত শরীরকে ঠাণ্ডা ও তাজা রাখে।তরমুজের রস খেলে শরীরের লাবণ্য বজায় থাকে।টায়ফয়েড জ্বরে আধাপাকা বা কাঁচা তরমুজের রস দু-চামচ করে দিনে তিন-চার বার খেলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
শশা
অন্যান্য ফল ও সব্জির মত এতে অনেক অনেক ভিটামিন না থাকলেও আপনার প্রতিদিনের ভিটামিন সি ও ভিটামিন ‘কে’ এর চাহিদা পূর্ণ করতে পারে এই বহুল প্রচলিত খাবারটি। আপনার প্রতিদিনের সালাদে রাখুন অনেকখানি শসা। গরমে প্রাণ জুড়াতে শসা এবং পুদিনা পাতার শরবত খেতে পারেন।
ডাবের পানি
ডাবের পানির পুষ্টিগুণ যে কোন এনার্জি ড্রিংক এর চাইতে কম নয় বরং অনেক গুণ বেশি এবং এটি ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল মুক্ত। এতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে পটাসিয়াম যা গরম কমানোর অন্যতম একটি উপাদান। দিনে একটি ডাবের পানি স্যালাইনের বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারে।


খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।