সেবা ডেস্ক: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করলেও ২০০ রানের মাথায় চাপে পড়ে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে আউট হওয়ার পর দ্রুতই ফিরে গেছেন মুমিনুল হকও। দ্বিতীয় উইকেটে এই দুজন গড়েছেন ১৭০ রানের বড় জুটি। এরপরই নিয়মিত উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত ২০২ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা। সাব্বির রহমান ফিরে গেছেন শূন্য রানেই।
মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট হাতে ইনিংস শুরু করেন তামিম ইকবাল এবং ইমরুল কায়েস। শুরুতেই ইমরুল কায়েসকে হারানোর পর তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হকের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে বাংলাদেশ। তামিম শুরুটা করেন বেশ সতর্কতার সঙ্গে। প্রথম রান নেন নিজের মোকাবিলা করা ২০তম বলে। তবে এর পরেই আগ্রাসি হয়ে ওঠেন। অভিষিক্ত জাফর আনসারির একই ওভারে মারেন তিন চার।
ইনিংসের ১৫তম ওভারে ওই আনসারির বল ফাইন লেগে পাঠিয়ে ৩ রান নিয়ে ৬০ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন তামিম। চার মেরে রানের খাতা খোলা মুমিনুলও তামিমকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন। ফলে ১৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৮৪। ইংলিশ বোলারদের বেশ ভালোভাবে সামলে লাঞ্চের আগেই দ্বিতীয় উইকেটে শতরানের জুটি গড়েন তামিম-মুমিনুল। ৮৫ মিনিটে ১২৩ বলে এই জুটি গড়েন দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। সিরিজে এটাই বাংলাদেশের প্রথম শতরানের জুটি। এরপর বাংলাদেশ লাঞ্চ বিরতিতে যায় ১ উইকেটে ১১৮ রানে।
ব্যক্তিগত ৪৪ রানে নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিলেন, বিরতি থেকে ফিরেই ফিফটি তুলে নেন মুমিনুল। স্পিনার আদিল রশিদের বলে চার মেরে ৭১ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন এই বাঁহাতি। এটা তার ক্যারিয়ারের দশম ফিফটি। খানিক বাদে তামিম তুলে নেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। সেটিও আবার রাজকীয়ভাবে। ব্যক্তিগত ৯৩ রান থেকে মঈন আলীর পরপর দুই বলে দুই চার হাঁকিয়ে ১৩৯ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার স্পর্শ করেন তামিম। এটা তার ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয়।
সেঞ্চুরির পর অবশ্য ইনিংস আর বড় করতে পারেননি তামিম। মঈন আলীর পরের ওভারে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান। তার আগে ১৪৭ বলে ১২টি চারের সাহায্যে খেলেন ১০৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।