সেবা ডেস্ক: এশিয়ায় আন্তসীমান্ত স্থানচ্যুতির সমস্যা মোকাবেলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং অববাহিকাভিত্তিক নদী ব্যবস্থাপনার দাবি জানিয়েছে দেশি-বিদেশি ২১টি বেসরকারি সংস্থা। ভারতের দিল্লিতে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন সংক্রান্ত এশীয় মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের আগে সংগঠনগুলো এ দাবি জানালো।
রবিবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে দাবি জানানো হয়। সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে এ্যাকশন এইড, ব্র্যাক, ক্রিশ্চিয়ান এইড, কোস্ট ট্রাস্ট, ডান চার্চ এইড, দিশারী, ডিজাস্টার ফোরাম, দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা, গণ উন্নয়ন কেন্দ্র, ইসলামিক রিলিফ, লাইট হাউস, নিরাপদ, পিদিম ফাউন্ডেশন, অক্সফাম, প্লান ইন্টারন্যাশনাল, প্র্যাকটিক্যাল একশন, এসকেএস ফাউন্ডেশন, টিয়ার ফান্ড এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ নিজেদের সাফল্য অন্য দেশগুলোর সাথে আন্তরিকভাবে বিনিময় করছে। এছাড়া দীর্ঘস্থায়ী ও চৌকস দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং উদ্ধার কার্যক্রম নিশ্চিত করতে কাজ চলছে। পরিবশগত ঝুঁকি মোকাবেলায় আঞ্চলিক সহযোগিতাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ কার্যক্রম এগিয়ে নিতে সরকার কাজ করছে।
তিনি বলেন, সরকার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য সব সময়ই সচেষ্ট। দারিদ্র দূরীকরণে এবং দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসে সরকার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে সহযোগিতার আহ্বান জানাবে।
রিয়াজ আহমেদ বলেন, আঞ্চলিক সহযেগিতার প্রয়োজন থাকলেও, বাংলাদেশকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে এবং নিজের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
হাসিনা ইনাম বলেন, আঞ্চলিক রাষ্ট্রগুলোকে মানুষের অধিকার নিয়ে ভাবতে হবে, শুধু সরকারের বা রাষ্ট্রের অধিকার নিয়ে ভাবলে হবে না। মানুষের সার্বভৌমত্বের বিষয়টি প্রাধান্য পাওয়া উচিত।
দিল্লী সম্মেলনে আলোচনার জন্য ছয়টি দাবি উপস্থাপন করা হয়। এগুলো হলো- সরকারগুলোকে গণমানুষের কথা শুনতে হবে এবং নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে অববাহিকাভিত্তিক ব্যবস্থাপনার কথা বিবেচনা করতে হবে; সাইক্লোন এবং মৌসুমী জোয়ার ভাটা, লবণাক্ত পানির প্রবেশ থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণে বিনিয়োগ করতে হবে; সব সরকারকে জলবায়ু তাড়িত বাস্তুচ্যুতদের যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা দিতে হবে, জাতিসংঘের নীতি কাঠামোর আওতায় অভ্যন্তরীণ ও আন্ত সীমান্ত বাস্তুচ্যুতদের সমস্যা সমাধানে নীতি প্রণয়ন করতে হবে; আন্ত:রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে বিশেষ দুর্যোগে নিয়োগের জন্য বিশেষ বাহিনী বা সংস্থা তৈরি রাখতে হবে; স্থানীয় এবং জাতীয় এনজিওগুলোকে প্রাধান্য দেওয়ার বিশ্ব মানবিকতা সংক্রান্ত সম্মেলনের আহ্বানকে গুরুত্ব দিতে হবে।
কোস্ট ট্রাস্টের রেজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ, ডান চার্চ এইডের হাসিনা ইনাম, ব্র্যাকের শশাঙ্ক শাদি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টের কে জাকারিয়া খালেদ, এডাবের মো. জসিম উদ্দিন, ইএসসি’র আমিনুল কায়সার দিপু, কোর্ডএইডের ওয়াহিদা বাশার আহমেদ, হেল্প এইজের কবিতা বোস, এসকেএস’র পলাশ কুন্ডু এবং পিদিম ফাউন্ডেশনের এবি ব্যানার্জি, কোস্ট ট্রাস্টের শওকত আলী টুটুল।