এস.এইচ.এম তরিকুল ইসলাম: আপতত কানের উপর দিয়েই গেল, নয়তো মাথাটাই দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারতো, যে কারণেই আল্লাহ তায়ালা’র কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া। কথাগুলো বলছিলেন, মহানগরীর উত্তর নওদাপাড়া এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় আহত আল-মামুনকে (৪০) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে দেখতে এসে তার স্বজন ও প্রতিবেশীসহ অন্যান্যরা।
এর আগে শুক্রবার (০৪ নভেম্বর) জুমআ’র নামাজ আদায় করে বাড়ি ফেরার পথে কালুর মোড় এলাকায় নামাজ’র উপদেশ দেওয়ায় কান হারায় মামুন। তখন আহত অবসস্থায় তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত মামুন মহানগরীর উত্তর নওদাপাড়া এলাকার মুর্তুজার ছেলে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় সন্ত্রাসী রাসেলকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়দের ঊদৃতি দিয়ে শুক্রবার রাতে শাহ্মখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিল্লুর রহমান জানান, জুমআ’র নামাজ আদায় করে আল-মামুন বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে কালুর মোড়ে আটককৃত রাসেল ও তার প্রতিপক্ষ বাকবিতন্ডা করছিল।
এসময় আল-মামুন তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, শুক্রবার জুমআ’র নামাজ পড়তে (আদায়) মসজিদে যাওয়া বাদ দিয়ে গ্যাঞ্জাম (বাকবিতন্ডা) করছো? আর তখনই রাসেল প্রতিপক্ষ ছেড়ে মামুনের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে যায়। এক পর্যায়ে ধারালো ছোরা দিয়ে রাসেল আঘাত করতে আসলেও স্থানীয়দের বাঁধার কারণে প্রাণে বেঁচে যায় আল-মামুন। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে কামড় দিয়েই মামুনের কান কেটে নেয় রাসেল।
ওসি বলেন, আটককৃত রাসেল তার অপরাধ স্বীকার করেছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
