হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও মন্দির ভাংচুরের প্রতিবাদে শেরপুরে মানববন্ধন-সমাবেশ

Unknown
সেবা ডেস্ক:  এম. সুরুজ্জামান, শেরপুর প্রতিনিধি: ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও হবিগঞ্জের মাধবপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে হামলা-লুটতরাজ ও মন্দির ভাংচুরের প্রতিবাদে ৪ নভেম্বর শুক্রবার সকালে শেরপুর শহরের টাউন হলের সামনে এক মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ এ কর্মসূচীর আয়োজন করে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কর্মসূচী চলাকালে এর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষনা করে শেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট কমান্ড, সেক্টর কমার্ন্ডাস ফোরাম, উদিচি, জনউদ্যোগ, প্রেসক্লাব, খেলাঘরসহ আরও বেশ কয়েকটি সংগঠন।

সাংবাদিক দেবাশীষ ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে প্রভাষক মলয় চাকীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. নূরল ইসলাম হিরো। অন্যান্যের মধ্যে সেক্টর কমার্ন্ডাস ফোরামের সাধারন সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. আখতারুজ্জামান, জেলা পূজা পরিষদের উপদেষ্টা শিক্ষাবিদ অধ্যাপক শিব শংকর কারুয়া, জনউদ্যোগ সভাপতি শিক্ষাবিদ আবুল কালাম, সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধা তালাপতুফ হোসেন মনজু ‍, উদিচির জেলা সভাপতি তপন সারোয়ার, মানবাধিকার নেতা মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট প্রদীপ কৃষ্ণ দে, হিন্দু-বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট নরেশ চন্দ্র দে, পুরোহিত কল্যাণ পরিষদের সভাপতি শিক্ষক বিপুল চক্রবর্তী প্রমূখ।

সভায় বক্তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও হবিগঞ্জের মাধবপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে হামলা-লুটতরাজ ও মন্দির ভাংচুরের ঘটনাকে বর্বরোচিত উল্লেখ করে বলেন, এ ঘটনা জাতিকে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। তাঁরা বলেন, ইসলাম ধর্ম অমুসলিমদের জানমাল ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হেফাজত করার শিক্ষা দেয়। ধংস করার শিক্ষা দেয়না। পবিত্র কোরআনে এসব কাজ অগ্রণযোগ্য বলে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। কোন প্রকৃত মুসলমান এ ধরনের ন্যক্কার জনক ঘটনা ঘটাতে পারেনা। যারা ফেসবুকে বাজে ছবি পোষ্ট করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তদন্ত করে এর সাথে জড়িত প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top