রাজশাহীতে জেলহত্যা দিবসে খুনিদের ফাঁসি কার্যকরের দাবি

Unknown
সেবা ডেস্ক:  সারাদেশের ন্যয় যথাযোগ্য মর্যাদায় গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় রাজশাহীতেও বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) পালিত হয়েছে ইতিহাসের কলঙ্কময় জেলহত্যা দিবস। দিবসটি উপলক্ষে রাজশাহী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠন ছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড কর্মচারী ইউনিয়ন, সোনালী ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়ন, গণপূর্ত অধিদপ্তর রাজশাহীর কর্মচারী ইউনিয়ন, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ইউনিয়ন পৃথকভাবে কর্মসূচী পালন করে। কর্মসূচি থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অবিলম্বে জেলহত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়ার বাকি অংশ শেষ করে খুনিদের ফেরত এনে ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানান।

এদিন সূর্যদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নগরীর কুমারপাড়ায় মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে সকাল ৯টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য দিয়ে শুরু হয় জেলহত্যা দিবসের কর্মসূচি। সকাল সাড়ে ১০টায় মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে কুমারপাড়া দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি শোকযাত্রা বের করা হয়। শোকযাত্রাটি মহানগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট, সোনাদীঘির মোড় ও মণিচত্বর হয়ে মহানগরীর কাদিরগঞ্জে অবসি'ত জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সমাধিস'লে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপসি'ত ছিলেন- জাতীয় চার নেতা পুত্র রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আখতার জাহান, সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, জাতীয় চার নেতা পুত্রবধূ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেণী, সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, নওশের আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।
এদিকে, জাতীয় চার নেতার স্মরণে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ছাড়াও মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন মোড়, গুরুত্বপূর্ণস'ানে সকাল থেকেই মাইকযোগে কোরআন তেলাওয়াত, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষন ও দেশের গান প্রচার করা হয় এবং দুঃস'দের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও এদিন বিকেল ৫টায় মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে স'ানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।

বক্তব্যে খায়রুজ্জামান  বলেন, ‘৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন' ২০০১ সালে মৌলবাদী ও দেশবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় এসে বিচার প্রক্রিয়া নস্যাৎ করে। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এসে যে রায় দেয় তা মেনে নেওয়া হয়নি। এরপর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। এখন বিচারের বাকি প্রক্রিয়া শেষ করে খুনিদের ফাঁসি কার্যকর এখন সময়ের দাবি।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ০৩ নভেম্বর ঢাকা কারাগারের মধ্যেই জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলী ও আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর থেকে দিনটি জাতি গভীর শোক ও শ্রদ্ধার মধ্যে দিয়ে পালন করে আসছে। 

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top