সেবা ডেস্ক: এম. সুরুজ্জামান, শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরে সময় মত বৃষ্টি, আবহাওয়া অনুকূলে ও কৃষকদের সার প্রাপ্তিতে সহজ লভ্যতার কারণে এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে কৃষকের মুখে হাসি ফুঁটে উঠেছে।
জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদরসহ নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী, শ্রবিরদী ও নকলা উপজেলায় ৯০ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। গত বছর জেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৪ হাজার হেক্টর জমি। এবার ৬ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ বেশী হয়েছে। এ বছর উফসী জাতের ধান আবাদ হয়েছে ৫০ হাজার হেক্টর, বিনা-৭ জাতের ধান আবাদ হয়েছে ৭ শত হেক্টর, বাইশমুঠি জাতের আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৫শ হেক্টর, ব্রি-ধান ৪৯ ও অন্যান্য জাতের ধান আবাদসহ মোট ৯০ হাজার ৫শ হেক্টর জমি। আমন ধানের বীজ আগে রোপন করায় কৃষান-কৃষানী মাঠের অধিকাংশ রোপনকৃত পাকা আগাম ফসল ঘরে তোলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তারা ধুমধামে পাইজাম, স্বর্ণলতা, বাইশমুঠি, ব্রি-ধান ৪৯, বিনা-৭ কাটতে শুরু করেছেন। এতে প্রতি একরে জাত ভেদে ৪০ থেকে ৫০ হারে ফলন হচ্ছে। বেশি ফলন ভাল দামে কৃষক যেন মহা খুশি।
নালিতাবাড়ীর কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, এবার আমন ফসল খুব ভালো হয়েছে। প্রতিমন ধানের দাম পাইজাম ৯৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা, ব্রি-ধান ৪৯, ৮৫০ থেকে ৮৭০ টাকা, স্কর্ণলতা ৮২০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকা, বিনা-৭, ৮০০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকা ও আতপ তুলসীমালা জাতের ধান ১২০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে শ্রমিক সংকটে একরে সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকায় ধান কাটতে হচ্ছে।
শেরপুর কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আশরাফ উদ্দিন বলেন, আবহাওয়া, প্রাকৃতিক পরিবেশ র্পাচিং পদ্ধতি ও সার ব্যবস'াপনা ভাল থাকায় এবার ফসল উৎপাদন ভাল হয়েছে। এর ফলে জেলার খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলার খাদ্য ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে।