সেবা ডেস্ক: কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রোর স্মরণে মহাসমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার রাজধানী হাভানায় বিভিন্ন বামজোট ও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের নেতাদের ঢল নেমেছে। ১৯৫৯ সালে এ দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে বিপ্লব ঘটিয়ে অর্ধশতাব্দী শাসন করেন এ মহান নেতা।
স্বাস্থ্যের অবনতির কারণে গত এক দশক আগে ভাই রাউল ক্যাস্ট্রোর কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দেন ক্যাস্ট্রো। গত শুক্রবার ৯০ বছর বয়সে তিনি পরলোক গমন করেন। তবে পেছনে রেখে গেছেন একটি মিশ্র উত্তরাধিকার। তাকে বলা হয় সাম্রাজ্যবাদের প্রতিবন্ধক এবং গরিবের রক্ষক। তবে কারো কারো কাছে তিনি নির্যাতনকারী। কেননা তার সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারা দেশটির অর্থনীতিকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে বলে অনেকে নিন্দা জানিয়ে থাকেন। ইতোমধ্যেই দেশে নয়দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রেভ্যুলিউশন স্কয়ারে ফিদেলে জন্য শোক পালন করার কথা ছিল। এই স্কয়ার থেকেই একদিন জ্বালাময়ী ও দীর্ঘ বক্তৃতা দিয়েছিলেন ক্যাস্ট্রো। এদিন সকল স্কুল ও সরকারি অফিস বন্ধ রাখা হবে যাতে জনগণ সহজেই সমাবেশে আসতে পারে এবং অন্যান্য মানবাধিকার কর্মীরা ক্যাস্ট্রো স্মৃতিস্তম্ভে সম্মান প্রদর্শন করেছেন। কর্তৃপক্ষ একথা জানিয়েছে। এদিকে ক্যাস্ট্রোর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দেশের নেতারা আসতে আরম্ভ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নাকের ডগায় বসে তিনি যে এমন কমিউনিস্ট রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন সেজন্য তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছেন নেতারা। এদের মধ্যে লাতিন আমেরিকার অনেক বামপন্থি নেতারাও রয়েছেন। ভেনিজুয়েলার নেতা নিকোলাস মাদুরো এবং বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এরই মধ্যে পৌঁছে গেছেন। সোমবার হাভানায় অবতরণ করার পরই মাদুরো ফিদেলের ‘অমর শক্তি’ র প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তাছাড়া জিম্বাবুয়ের রবার্ট মুগাবে ও দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাকব জুমাসহ বেশকিছু আফ্রিকান নেতাদের আসার কথা রয়েছে। আজ যদি নেলসন ম্যান্ডেলা বেঁচে থাকতেন, তাহলে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রবল জাতিবিদ্বেষ দমনে ফিদেল যে অবদান রেখেছেন সেজন্য বারবার তাকে ধন্যবাদ দিতেন।
