সেবা ডেস্ক: মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ধারণা করছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জয়ী করতে গোপন সাইবার কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে। নিউইয়র্ক টাইমইসকে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, রাশিয়ার সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে তাদের জোর বিশ্বাস রয়েছে।
সিআইএ’র একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টও একই কথা জানিয়েছে। তবে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমতাগ্রহণ দলের পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে এর জোর প্রতিবাদ করে বলা হয়েছে, এরা হচ্ছে সেই ব্যক্তিরা যারা বলেছিল সাদ্দাম হোসেনের কাছে ব্যাপক গণবিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে। রাশিয়াও হ্যাকিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ওঠা ধারাবাহিক সাইবার আক্রমণের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ডেমোক্রেট দলের প্রাথী হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনী দলের প্রধান জন পডেস্টা ও ডেমোক্রেট ন্যাশনাল কমিটির ই মেইল হ্যাকিংয়ের শিকার হয়। গোয়েন্দা প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, তারা আত্মবিশ্বাসী যে রাশিয়ার অঙ্গুলি হেলনেই এই হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। রাশিয়ান হ্যাকাররা রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির কম্পিউটার সিস্টেম ও হ্যাক করে। ডেমোক্রেট দলের তথ্য প্রকাশ করলেও হ্যাকাররা রিপাবলিকানদের থেকে চুরি করা কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।
টাইমসের প্রতিবেদনে গোয়েন্দাদের বরাত দিয়ে বলা হয়, রাশিয়ানরা ডেমোক্রেটদের তথ্য উইকিলিকসের কাছে দেয় যেগুলো পরবর্তীতে ছড়িয়ে দেয়া হয় অনলাইনে। ওয়াশিংটন পোস্ট নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন জেষ্ঠ্য গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়, গোয়েন্দা সংস্থা রাশিয়ার সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এমন কিছু ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছে যারা হিলারি ক্লিনটনের ক্যাম্পেইন পরিচালকসহ আরো অনেকের হাজারো ই-মেইল উইকিলিকসকে দিয়েছে। ডেমোক্রেট সমর্থকরা এই জন্য রাশিয়ার দিকে আঙ্গুল তুলেছিল।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে রাশিয়াকে হিলারি ক্লিনটনের ই মেইল হ্যাক করতে উৎসাহ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে দাবি করেন তিনি মজা করে সেটি বলেছেন। বিবিসি।