কাজী খোরশেদ আলম,কুমিল্লা: আসন্ন কুমিল্লা জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন স্বপন। বুধবার সকালে নগরীর নিজ বাস ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ইশতেহার ঘোষণা করেন।তিনি বলেন, প্রতিটি নির্বাচনেই একজন প্রার্থীর নির্বাচনী কিছু লক্ষ উদেশ্যে থাকে। স'ানীয় সরকার কাঠামোর মধ্যে জেলা পরিষদ অনতম একটি বিশাল সেক্টর। একটি সংসদীয় এলাকা , উপজেলা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের জন্য কাজের পরিধি ও সীমাবদ্ধতা স্ব-স্ব এলাকায় নির্ধারিত থাকে। কিন' দেশের অন্যতম ও প্রাচীন জেলা কুমিল্লার ১৬ টি উপজেলার ১১ টি সংসদীয় আসনই অত্র জেলা পরিষদেও কার্য ক্ষেত্রের আওতায়। তাই দেশের অন্য সব জেলা পরিষদ থেকে কুমিল্লার আয়তন ও ভৌগলিক অবস'ান থেকে কুমিল্লা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন। জেলা পরিষদ আইন ও বিধি অনুসারে আমার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করছি।
আমি নির্বাচিত হলে প্রথমে জেলা পরিষদ চত্বরে একটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ তৈরী করব, দু:স'্য ও অসহায় মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেব। জেলা পরিষদের বে-দখলে থাকা সম্পতি উদ্ধার ,রক্ষনাবেক্ষণ এবং পরিত্যাক্ত সম্পতি ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব আয় বৃদ্ধির উদ্যোগ নেব। যে-সব উপজেলা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মান সম্মত শহীদ মিনার কিংবা স্মৃতি সৌধ নেই সরকারী অর্থায়নে নির্মানের উদ্যোগ নেব। যোগাযোগ- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,মসজিদ,মন্দির, ও অন্যান্য উপাসনালয় উন্নয়নের আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধি করা, জেলা ব্যাপী স্বাস্থ্য শিক্ষা ও স্যানিটেশনের উন্নয়ন করবো।
জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রিত সকল ডাক বাংলোর উন্নয়ন এবং ইজারা প্রাপ্ত সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার যথাযথ উন্নয়ন ও রক্ষনাবেক্ষণ। প্রতিটি উপজেলায় বিনামূল্যে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবস্থার উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জেলার মহাসড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে যাত্রী ছাউনী তৈরী করা হবে।পাবলিক হল ,কমিউনিটি সেন্টার প্রতিষ্ঠান এবং জনসেবার জন্য স্থানের ব্যবস্থা, নাগরিক শিক্ষার প্রসার এবং স্থানীয় সরকার,পল্লী ও পূর্নগঠন, স্বাস্থ্য,সমাজ উন্নয়ন,কৃষি শিক্ষা,গবাদি পশু প্রজনন সম্পর্কিত এবং জনস্বার্থ সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়ের উপর তথ্য প্রচার করা হবে।
মহানবী(স:) এর জম্মদিবস, জাতীয় শোক দিবস, শহীদ দিবস, স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসসহ অন্যান্য জাতীয় অনুষ্ঠান উদযাপন। বিশিষ্ঠ অতিথিগণের সংবধর্না ও অভ্যার্থনার ব্যবস্থা করা হবে। খেলাধুলায় উৎসাহ দান এবং সমাবেশ ও প্রতিযোগিতামূলক ক্রীড়া ও খেলাধুলার ব্যবস্থা করা।
কোটবাড়ি, লালমাই-ময়নামতিসহ জেলার সকল ঐতিহাসিক এবং আদি নির্দশন বৈশিষ্ট্য সমূহ সংরক্ষণ। অসুস্থ্য,পঙ্গু ও দুস' সাংবাদিকদের সহায়তার পাশাপাশি সমাজ কল্যাণ ও সংস্কৃতি উন্নয়নের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। দু:স্থ ব্যক্তিদের জন্য কল্যাণ সদন, আশ্রয় সদন,এতিমখানা, বিধবা সদন, এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও রক্ষাণাবেক্ষণ করা হবে। মৃত নি:শ্ব ব্যক্তিদের দাফনের ও অন্তোষ্টিক্রীয়ার ব্যবস্থা করা।