কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ঃ ১৬.০৫.১৭
কুড়িগ্রামের ইট ভাটার ছেড়ে দেওয়া বিষাক্ত গ্যাসে পুড়ে গেছে শতাধিক একর জমির বোরো ধান। ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে পার্শ্ববর্তী কচু ক্ষেত ও বড়াই বাগানসহ বিভিন্ন প্রজাতির সহস্রাধিক গাছপালা। এ অবস্থায় জমির পাকা ধান পুড়ে যাওয়া ও অন্যান্য ফসলের ক্ষতি হওয়ায় দিশেহারা পড়েছে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়ায় শাহীন ব্রিকস নামে একটি ইট ভাটার ইট পোড়ানোয় সৃষ্টি হওয়া বিষাক্ত গ্যাস এক সপ্তাহ্ আগে রাতের আধারে ছেড়ে দেয় ভাটার মালিক। কৃষি জমির পাশে অবস্থিত এ ভাটার গ্যাস অন্যান্য বছর ফসল উঠার পর ছেড়ে দিলেও এবছর ফসল না উঠতেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এতে করে আস্তে আস্তে ভাটার পাশে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পুড়ে গেছে চৌধুরীপাড়া, হাজিরডোবা ও বানির খামার গ্রামের প্রায় শতাধিক একর জমির পাকা ও আধাপাকা বোরো ধান ক্ষেত। এছাড়াও কচু ক্ষেত ও বড়াই বাগানসহ সহস্রাধিক গাছপালার পাতা পুড়ে যাওয়ায় দুঃচিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
ধানের পাশাপাশি কচু ক্ষেত ও বড়াই বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় ভাটার মালিকের নিকট ক্ষতিপুরন দাবী করেছেন এলাকাবাসী। তাদের দাবী নিয়মনীতি না মেনে কৃষি জমি ও বসতবাড়ীর পাশে যত্রতত্র গড়ে উঠা ইট ভাটা বন্ধ করে দেয়া হোক।
ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া গ্রামের খায়রুল ইসলাম জানান, জমির পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার আগ মুহুর্তে ভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ধান পুড়ে যাওয়ায় সারা বছরের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছি। এত কষ্ট করে টাকা পয়সা খরচ করে আবাদ করেও বউ বাচ্চা নিয়ে উপোস থাকতে হবে। আমি ভাটার মালিকের বিচার চাই।
একই ইউনিয়নের হাজির ডোবা গ্রামের ফুলাল্লি মিয়া জানান, শাহীন চেীধুরীর সিএইচবি ভাটার বিষাক্ত গ্যাসে আমার ৩ একরেরও বেশি জমির বোরো ধান ক্ষেত পুড়ে গেছে। আমি এর ক্ষতিপুরন চাই।
ভোগডাঙ্গার বানির খামার গ্রামের আমিনুর ইসলাম ও আবুল হোসেন জানান, ১ একর জমি বর্গা নিয়ে বড়াইয়ের বাগান করেছি। ইট ভাটার বিষাক্ত গ্যাসে গাছ থেকে বেড়ানো সব কচি পাতা পুড়ে গেছে। এ অবস্থায় নতুন করে পাতা গজাতে পারবে না। আমরা পুরোটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছি।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, ইট ভাটার গ্যাসে ক্ষতিগ্রস্থ ফসলী জমি পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্থ ফসলের পরিমান নির্ধারন করে দেয়া হয়েছে। কৃষকের ফসলের ক্ষতিপুরন না দিলে ইট ভাটার মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এব্যাপারে সিএইচবি ইট ভাটার মালিক শাহীন চৌধুরী ভাটার ছেড়ে দেওয়া গ্যাসে ফসলের ক্ষতি হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, কৃষকরা যতটা অভিযোগ করছে ততটা ক্ষতি হয়নি।
কুড়িগ্রামের ইট ভাটার ছেড়ে দেওয়া বিষাক্ত গ্যাসে পুড়ে গেছে শতাধিক একর জমির বোরো ধান। ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে পার্শ্ববর্তী কচু ক্ষেত ও বড়াই বাগানসহ বিভিন্ন প্রজাতির সহস্রাধিক গাছপালা। এ অবস্থায় জমির পাকা ধান পুড়ে যাওয়া ও অন্যান্য ফসলের ক্ষতি হওয়ায় দিশেহারা পড়েছে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়ায় শাহীন ব্রিকস নামে একটি ইট ভাটার ইট পোড়ানোয় সৃষ্টি হওয়া বিষাক্ত গ্যাস এক সপ্তাহ্ আগে রাতের আধারে ছেড়ে দেয় ভাটার মালিক। কৃষি জমির পাশে অবস্থিত এ ভাটার গ্যাস অন্যান্য বছর ফসল উঠার পর ছেড়ে দিলেও এবছর ফসল না উঠতেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এতে করে আস্তে আস্তে ভাটার পাশে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পুড়ে গেছে চৌধুরীপাড়া, হাজিরডোবা ও বানির খামার গ্রামের প্রায় শতাধিক একর জমির পাকা ও আধাপাকা বোরো ধান ক্ষেত। এছাড়াও কচু ক্ষেত ও বড়াই বাগানসহ সহস্রাধিক গাছপালার পাতা পুড়ে যাওয়ায় দুঃচিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
ধানের পাশাপাশি কচু ক্ষেত ও বড়াই বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় ভাটার মালিকের নিকট ক্ষতিপুরন দাবী করেছেন এলাকাবাসী। তাদের দাবী নিয়মনীতি না মেনে কৃষি জমি ও বসতবাড়ীর পাশে যত্রতত্র গড়ে উঠা ইট ভাটা বন্ধ করে দেয়া হোক।
ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া গ্রামের খায়রুল ইসলাম জানান, জমির পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার আগ মুহুর্তে ভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ধান পুড়ে যাওয়ায় সারা বছরের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছি। এত কষ্ট করে টাকা পয়সা খরচ করে আবাদ করেও বউ বাচ্চা নিয়ে উপোস থাকতে হবে। আমি ভাটার মালিকের বিচার চাই।
একই ইউনিয়নের হাজির ডোবা গ্রামের ফুলাল্লি মিয়া জানান, শাহীন চেীধুরীর সিএইচবি ভাটার বিষাক্ত গ্যাসে আমার ৩ একরেরও বেশি জমির বোরো ধান ক্ষেত পুড়ে গেছে। আমি এর ক্ষতিপুরন চাই।
ভোগডাঙ্গার বানির খামার গ্রামের আমিনুর ইসলাম ও আবুল হোসেন জানান, ১ একর জমি বর্গা নিয়ে বড়াইয়ের বাগান করেছি। ইট ভাটার বিষাক্ত গ্যাসে গাছ থেকে বেড়ানো সব কচি পাতা পুড়ে গেছে। এ অবস্থায় নতুন করে পাতা গজাতে পারবে না। আমরা পুরোটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছি।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, ইট ভাটার গ্যাসে ক্ষতিগ্রস্থ ফসলী জমি পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্থ ফসলের পরিমান নির্ধারন করে দেয়া হয়েছে। কৃষকের ফসলের ক্ষতিপুরন না দিলে ইট ভাটার মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এব্যাপারে সিএইচবি ইট ভাটার মালিক শাহীন চৌধুরী ভাটার ছেড়ে দেওয়া গ্যাসে ফসলের ক্ষতি হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, কৃষকরা যতটা অভিযোগ করছে ততটা ক্ষতি হয়নি।