সেবা ডেস্ক:
জামালপুরের বকশীগঞ্জে ভয়াবহ বন্যায় বগারচর ইউনিয়নের আলীর পাড়া- নঈম মিয়ার বাজার সড়কের মরাপাড়া ব্রিজ ধসে গিয়ে চলাচল বন্ধ থাকার দেড় মাস পর ফের চলাচল শুরু হয়েছে।
ওই ব্রিজের দুই পাশে মাটি ভরাট করার পর প্রতিদিন শত শত মানুষ , যান চলাচল ও কৃষি পন্য সরবরাহ করা হচ্ছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর প্রায় লড়্গাধিক টাকা খরচ করে বিধ্বসত্ম বিজ্রের দুই পাশের মাটি করে দেন বাংলাদেশ সুপ্রীম
কোর্টের আইনজীবী ও বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশের প্যানেল ল’ইয়ার ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার ।
তিনি তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষের স্বার্থে রাসত্মাটির চলাচল সচল করে দেন।
জানা গেছে, গত আগস্ট মাসে ভয়াবহ বন্যায় বগারচর ইউনিয়নের রাসত্মাঘাটের ব্যাপক ড়্গয়ড়্গতি হয়।
বিশেষ করে আলীর পাড়া-নঈম মিয়ার বাজার সড়কের মরাপাড়া গ্রামের খালের উপর নির্মিত দুটি ব্রিজের একটি ধসে যায়।
এর পর থেকে এই সড়ক দিয়ে সব ধরনের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আলীর পাড়া গ্রামে অবসি'ত আলহাজ গাজী আমানুজ্জামান মডার্ন কলেজ ও আলীর পাড়া এমইউ বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয় অবসি'ত ।
এই দুই প্রতিষ্ঠানে প্রায় দুই হাজার ছাত্র ছাত্রী প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতো। এই সড়ক দিয়েই ঐতিহ্যবাহী নঈম মিয়ার বাজারে কৃষি পন্য সহ সব ধরণের উৎপাদিত পন্য সরবরাহ করা হয়।
কিন' ব্রিজ ধসে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে ৫ কিলোমিটার ঘুরে কলেজ ও বিদ্যালয়ে যেতে হয় শিড়্গার্থীদের । স'ানীয় প্রশাসনের নজরে এলেও বরাদ্দের অভাবে তাৎড়্গণিক সড়ক মেরামত করা হয়নি।
অবশেষে বকশীগঞ্জের কৃতি সনত্মান ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার ওই ব্রিজের এপ্রোচের মাটি ভরাট করে দেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ওই ব্রিজের মাটি ভরাট শেষে আনুষ্ঠানিক ভাবে চলাচল শুরম্ন করা হয়।
আলীর পাড়া এমইউ বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আমাদের শিড়্গার্থীদের প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল । মাটি ভরাটের ফলে শিড়্গার্থীরা সহজইে বিদ্যালয়ের আসতে শুরম্ন করেছে।
ওই গ্রামে অবসি'ত আলহাজ আমানুজ্জামান মডার্ন কলেজের অধ্যড়্গ মো. হেলাল উদ্দিন খান জানান, আমরা খুবই আনন্দিত হয়েছি এই সড়কটি ফের সচল হয়েছে। এতে করে শিড়্গক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারছে।
বগারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম লিচু জানান, আমরা এরকম মহতি উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি এবং ব্যারিস্টার সামীর সাত্তারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার বলেন, স্থানীয় জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করেই সেখানেই মাটি ভরাট করা দেয়া হয়েছে।