খালেদার জামিন প্রশ্নে রায় ১৫মে! রায়কে ঘিরে সহিংসতার গন্ধ

S M Ashraful Azom
Khaleda bail May 15 May on the question

সেবা ডেস্ক: গত ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০১৮ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার কারাদন্ড হবার পর থেকে তার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করে আসছে বিএনপি। পূর্বে বিএনপির আন্দোলন ছিল নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি, কিন্তু দলীয় চেয়ারপারসন কারাবন্দি হবার পর থেকে বিএনপির মূল আন্দোলন হয়ে যায় খালেদা জিয়ার মুক্তি কেন্দ্রিক।

দলটি এখনো সরে আসেনি নির্দলীয় সরকারের দাবি থেকে , তাই আন্দোলনের বিভিন্ন ইস্যু তৈরী হওয়ায় কোন মূল ইস্যুটি নিয়ে সামনে এগোবে তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে পরে বিএনপি।


প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চে মঙ্গলবার শুরু হওয়া দুই দিনের পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য ১৫মে দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন>>লন্ডনে তারেক জিয়াকে অর্থ পাচারের অভিযোগ: তাবিথকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ!
এই শুনানি ঘিরে বিএনপি নেতাকর্মীদের নাশকতা সৃষ্টির আশংকা করে থেকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। আদালত প্রাঙ্গণে ঢোকার সময় তল্লাশি করা হয় সবাইকে।

তবে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেও অন্য মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তার মুক্তি বিলম্বিত করার কৌশল সরকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করে জামিনের রায়কে ঘিরে সহিংস আন্দোলনে যাওয়ার পাঁয়তারা করছে বিএনপি।


খালেদার মুক্তির আন্দোলন জনগণের সমর্থন না পাওয়ায় আন্দোলন ফলপ্রসূ হয়নি। অন্যদিকে নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। তাই নির্দলীয় সরকারের দাবিতে কিংবা খালেদার মুক্তি নিশ্চিত করতে কঠোর আন্দোলনের কোনো বিকল্প ভাবছেনা দলটির নীতিনির্ধারকরা।
আরও পড়ুন>>‘কোটা সমস্যা সমাধান’ পরবর্তী ‘কোটা আন্দোলনের রহস্য’
৬ মে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হুমকির সুরে বলেন, ‘বিএনপি যে শুধু শান্তিপূর্ণ আন্দোলনই করতে জানে তা নয়, প্রয়োজনে আন্দোলনের ধরনেও পরিবর্তন করতে জানে।‘তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি কি এই বোঝাতে চাইলেন যে, সামনে কঠোর ও ধ্বংসাত্মক আন্দোলন অপেক্ষা করছে জাতির জন্যে?


তিনি এও জানান যে, ৮ মে খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানির রায়ের জন্যে অপেক্ষা করছে বিএনপি এবং খালেদা মুক্তি পেলে তার নির্দেশে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বড় ধরণের আন্দোলনে যাবে দলটি। আর খালেদার মুক্তিতে যদি আবারো বিলম্ব হয়, তাহলে আশা করা যাচ্ছে ধ্বংসাত্মক রাজনীতিই হবে বিএনপির শেষ পরিণতি।
আরও পড়ুন>>১০ মে মহাশূন্যে ভাসবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১
রায়ের অপেক্ষার প্রহর শেষ হলে কি আবারো পেট্রল বোমা দিয়ে যানবাহন ও মানুষ পোড়ানোই হবে বিএনপির মূল লক্ষ্য? এমন প্রশ্নেরই অবতারণা হয় বিএনপির উর্ধ্বতন নেতৃত্ব যখন জনসম্মুখে ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের আভাস দেয়।



ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top