সেবা ডেস্ক: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি থেকে পর পর দুই বার মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অবৈধ ভাবে লন্ডনে বিএনপি’র তারেক জিয়ার কাছে অর্থ পাচার সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ এনে অনুসন্ধানে নেমেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তাবিথ আউয়াল ছাড়াও অন্য যেসব নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে তারা হলেন, স্থায়ী কমিটির চার সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস, দুই ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ও এম মোর্শেদ খান, যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল।
বিএনপির বাকি নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান শেষে সত্যতা পাওয়া গেলে তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠাবে বলে জানায় দুদক।
অনুসন্ধান শেষে তাবিথের বিরুদ্ধে উল্লেখিত অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ৮মে তাবিথকে দুদক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে। দুদক সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ পন্থায় তাবিথ আউয়াল বিপুল পরিমাণ অর্থ লন্ডনে পাঠিয়েছে। তবে এই টাকার পরিমাণ কত এবং কোন পন্থায় এই টাকা দেশের বাইরে পাচার করা হয়েছে সে সম্পর্কে এখনই দুদক কিছু বলছে চাইছে না।
আরও পড়ুন>>`সাংবাদিকদের ওপর বিভিন্ন ধরনের বিধি-নিষেধ নিয়ে যে নীতিমালা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল'
দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘তদন্তের সঙ্গে স্বার্থে সব তথ্য এখনই বলা যাচ্ছে না।’ তবে ঐ কর্মকর্তা জানান, তাবিথ শুধু একা নন, এরকম অন্তত ১০ জন ব্যবসায়ী রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে লন্ডনে অবৈধ অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। তাবিথ এই ১০ জনের একজন।
এর আগে গত ২৪ এপ্রিল তাবিথ আউয়ালকে তলব করে দুদক। তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।
দুদকের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি ১৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা নগদ উত্তোলন করেন তিনি। আর ১৮ ফেব্রুয়ারি তাবিথ আউয়ালের ন্যাশনাল ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা নগদ উত্তোলন করা হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি একই ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা হয় ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। দুটি চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করা এই টাকার মধ্যে ৩ কোটি ২৫ লাখ উত্তোলন করা হয় নারায়ণগঞ্জ থেকে। এই অর্থ উত্তোলন সন্দেহের নজরে দেখে এর উৎস ও কারণ অনুসন্ধানের জন্য মূলত তাবিথকে দুদকে ডাকা হয়েছে।
আরও পড়ুন>>চাঁদপুরে বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস পালিত
অন্য একটি সূত্র থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত তাবিথ আউয়াল এবং তার বাবা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু লন্ডনে তারেকের যাবতীয় খরচের অর্থের যোগানদাতা।
আব্দুল আওয়াল মিন্টু এক সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। পরে দলের সাথে বেঈমানি করে বিএনপির সাথে যুক্ত হন এবং দলটির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মনোনীত হন।
আরও পড়ুন>>১০ মে মহাশূন্যে ভাসবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১
উল্লেখ্য, আব্দুল আউয়াল মিন্টু এবং তার ছেলে তাবিথ আউয়ালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। এর আগে আব্দুল আউয়াল মিন্টু এবং তার পরিবারের সকল সদস্যদের প্যারাডাইস পেপারস কেলেঙ্কারিতেও নাম এসেছিল। করস্বর্গ হিসেবে পরিচিত বারমুডায় ১৯৯৯ সালে নিবন্ধিত এনএফএম এনার্জি লিমিটেডের অংশীদার হিসেবে তাদের নাম এসেছিল।
তাবিথ আউয়াল ছাড়াও অন্য যেসব নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে তারা হলেন, স্থায়ী কমিটির চার সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস, দুই ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ও এম মোর্শেদ খান, যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল।
বিএনপির বাকি নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান শেষে সত্যতা পাওয়া গেলে তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠাবে বলে জানায় দুদক।
অনুসন্ধান শেষে তাবিথের বিরুদ্ধে উল্লেখিত অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ৮মে তাবিথকে দুদক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে। দুদক সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ পন্থায় তাবিথ আউয়াল বিপুল পরিমাণ অর্থ লন্ডনে পাঠিয়েছে। তবে এই টাকার পরিমাণ কত এবং কোন পন্থায় এই টাকা দেশের বাইরে পাচার করা হয়েছে সে সম্পর্কে এখনই দুদক কিছু বলছে চাইছে না।
আরও পড়ুন>>`সাংবাদিকদের ওপর বিভিন্ন ধরনের বিধি-নিষেধ নিয়ে যে নীতিমালা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল'
দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘তদন্তের সঙ্গে স্বার্থে সব তথ্য এখনই বলা যাচ্ছে না।’ তবে ঐ কর্মকর্তা জানান, তাবিথ শুধু একা নন, এরকম অন্তত ১০ জন ব্যবসায়ী রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে লন্ডনে অবৈধ অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। তাবিথ এই ১০ জনের একজন।
এর আগে গত ২৪ এপ্রিল তাবিথ আউয়ালকে তলব করে দুদক। তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।
দুদকের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি ১৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা নগদ উত্তোলন করেন তিনি। আর ১৮ ফেব্রুয়ারি তাবিথ আউয়ালের ন্যাশনাল ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা নগদ উত্তোলন করা হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি একই ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা হয় ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। দুটি চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করা এই টাকার মধ্যে ৩ কোটি ২৫ লাখ উত্তোলন করা হয় নারায়ণগঞ্জ থেকে। এই অর্থ উত্তোলন সন্দেহের নজরে দেখে এর উৎস ও কারণ অনুসন্ধানের জন্য মূলত তাবিথকে দুদকে ডাকা হয়েছে।
আরও পড়ুন>>চাঁদপুরে বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস পালিত
অন্য একটি সূত্র থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত তাবিথ আউয়াল এবং তার বাবা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু লন্ডনে তারেকের যাবতীয় খরচের অর্থের যোগানদাতা।
আব্দুল আওয়াল মিন্টু এক সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। পরে দলের সাথে বেঈমানি করে বিএনপির সাথে যুক্ত হন এবং দলটির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মনোনীত হন।
আরও পড়ুন>>১০ মে মহাশূন্যে ভাসবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১
উল্লেখ্য, আব্দুল আউয়াল মিন্টু এবং তার ছেলে তাবিথ আউয়ালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। এর আগে আব্দুল আউয়াল মিন্টু এবং তার পরিবারের সকল সদস্যদের প্যারাডাইস পেপারস কেলেঙ্কারিতেও নাম এসেছিল। করস্বর্গ হিসেবে পরিচিত বারমুডায় ১৯৯৯ সালে নিবন্ধিত এনএফএম এনার্জি লিমিটেডের অংশীদার হিসেবে তাদের নাম এসেছিল।