সেবা ডেস্ক: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করার পর এবার গাজীপুর সিটি নির্বাচনও রিট করে বন্ধ করে দিলো বিএনপি। মূলত দলীয় কোন্দল, দলের সমন্বয়হীনতা, আর্থিক অনটন, ক্ষমতার টানাটানি ও গাজীপুরে আহসানউল্লাহ মাস্টারের জনপ্রিয়তার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় বিএনপি।
গত ৬ মে সীমানা জটিলতা নিয়ে এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে অনেকটা আশাহত হয়ে নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা বলেন, গাজীপুর নির্বাচন স্থগিত করা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় ছিলো না। দলের প্রধান কারাগারে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফেরারি আসামি। তাছাড়া মির্জা ফখরুল ও তারেক রহমানের মধ্যকার কোন্দলও তৃণমূল নেতাদের দৃষ্টিগোচর হয় না। অপরদিকে বিএনপির হাজার হাজার নেতা দুর্নীতিসহ অসংখ্য দায় নিয়ে কারাভোগ করছেন। এছাড়া ১১ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকার কারণে অর্থিক সমস্যা তো রয়েছেই। এসব মিলিয়ে দলীয় সিদ্ধান্তেই গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে রিট করে বিএনপি।
গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থগিতের ফলে নির্বাচনী আমেজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে গাজীপুর নিবাসী মোহাম্মদ সাত্তার হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এলাকার মানুষের মন-প্রাণ থেকে এখনো গাজীপুর আওয়ামী লীগের জনদরদী নেতা প্রয়াত আহসানউল্লাহ মাস্টারের নাম মুছে যায়নি। গাজীপুরবাসী সব সময় আহসানউল্লাহ মাস্টারের কথা চিন্তা করে নির্বাচনে আওয়ামী লীগকেই ভোট দেয়। বিএনপি বা অন্যকোন দল এ এলাকায় ভোট পায় না। হয়তো এ কারণেই বিএনপি মেয়র নির্বাচন পেছাতে রিট আবেদন করেছে।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এক সিনিয়র নেতা বলেন, নির্বাচন পেছানো কোনো সমাধান হতে পারে না। বিএনপি বুঝে গেছে, তাদেরকে সাধারণ জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। এই কারণে বারবার বিভিন্ন ছুতো বের করে নির্বাচন পেছাচ্ছে। যদিও তারা মুখে বলছে কঠোর আন্দোলন করবে, কিন্তু তাদের যে আন্দোলন করার মতো শক্তি বা সামর্থ্য নেই তা এবারের গাজীপুর নির্বাচন স্থগিতের রিটই প্রমাণ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন>>আঞ্চলিক ইস্যু দিয়ে সরকারকে ঘায়েলের অপচেষ্টায় বিএনপি
সাংগঠনিক ভিত্তি দুর্বল হলে একটি দল যে কতোটা অসহায় হয়ে যায়, তা বিএনপিকে দেখলে বোঝা যায়। এমন নাজুক অবস্থান থেকে বিএনপি আগামীতে আর কখনো সরকার গঠন করতে পারবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
গত ৬ মে সীমানা জটিলতা নিয়ে এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে অনেকটা আশাহত হয়ে নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা বলেন, গাজীপুর নির্বাচন স্থগিত করা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় ছিলো না। দলের প্রধান কারাগারে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফেরারি আসামি। তাছাড়া মির্জা ফখরুল ও তারেক রহমানের মধ্যকার কোন্দলও তৃণমূল নেতাদের দৃষ্টিগোচর হয় না। অপরদিকে বিএনপির হাজার হাজার নেতা দুর্নীতিসহ অসংখ্য দায় নিয়ে কারাভোগ করছেন। এছাড়া ১১ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকার কারণে অর্থিক সমস্যা তো রয়েছেই। এসব মিলিয়ে দলীয় সিদ্ধান্তেই গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে রিট করে বিএনপি।
গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থগিতের ফলে নির্বাচনী আমেজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে গাজীপুর নিবাসী মোহাম্মদ সাত্তার হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এলাকার মানুষের মন-প্রাণ থেকে এখনো গাজীপুর আওয়ামী লীগের জনদরদী নেতা প্রয়াত আহসানউল্লাহ মাস্টারের নাম মুছে যায়নি। গাজীপুরবাসী সব সময় আহসানউল্লাহ মাস্টারের কথা চিন্তা করে নির্বাচনে আওয়ামী লীগকেই ভোট দেয়। বিএনপি বা অন্যকোন দল এ এলাকায় ভোট পায় না। হয়তো এ কারণেই বিএনপি মেয়র নির্বাচন পেছাতে রিট আবেদন করেছে।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এক সিনিয়র নেতা বলেন, নির্বাচন পেছানো কোনো সমাধান হতে পারে না। বিএনপি বুঝে গেছে, তাদেরকে সাধারণ জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। এই কারণে বারবার বিভিন্ন ছুতো বের করে নির্বাচন পেছাচ্ছে। যদিও তারা মুখে বলছে কঠোর আন্দোলন করবে, কিন্তু তাদের যে আন্দোলন করার মতো শক্তি বা সামর্থ্য নেই তা এবারের গাজীপুর নির্বাচন স্থগিতের রিটই প্রমাণ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন>>আঞ্চলিক ইস্যু দিয়ে সরকারকে ঘায়েলের অপচেষ্টায় বিএনপি
সাংগঠনিক ভিত্তি দুর্বল হলে একটি দল যে কতোটা অসহায় হয়ে যায়, তা বিএনপিকে দেখলে বোঝা যায়। এমন নাজুক অবস্থান থেকে বিএনপি আগামীতে আর কখনো সরকার গঠন করতে পারবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।