সেবা ডেস্ক: দলীয় কোন্দল, সমন্বয়হীনতা, নেতৃত্বসংকট ও আর্থিক অনটনে জর্জরিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচনে অসহায় ভাবে আত্মসমর্পণ করবে বলে জানালেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি’র) বর্তমান অবস্থা ও আগামী নির্বাচন নিয়ে একান্ত আলোচনায় তিনি এ কথা জানান।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক বলেন, আগামী নির্বাচনে সাধারণ জনগণ তাদেরই ভোট দেবে যাদের দেশের প্রতি দরদ রয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে এই দিক থেকে আওয়ামী লীগের পাল্লা ভারী। অপরদিকে বিএনপি থেকে খালেদা জিয়ার নাম মুখে আসলেও দুর্নীতির কারণে জেল হবার পর থেকে সাধারণ মানুষ তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এরপর তারেক রহমানের নাম মুখে নেয়ার কথা থাকলেও দুর্নীতির দায়ে ফেরারী আসামী হবার পর থেকে তার নামও কেউ মুখে নিচ্ছে না। ফলে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এছাড়া বিএনপিতে অভ্যন্তরীণ কোন্দলও বিদ্যমান। যার কারণে তারা নিজেদের মধ্যেই বিভক্ত। আর বিভক্ত দলকে সাধারণ মানুষ কখনোই সংগঠিত করতে পারবে না।
শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নয়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির ফখরুল-পন্থী নেতৃবৃন্দদের মুখেও শোনা গেলো একই রকমের বার্তা। তারা বলেছেন, বর্তমানে বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থান ভালো নয়। দলটি সাংগঠনিক দক্ষতা আগের জায়গায় নেই। একই সঙ্গে বিএনপি কর্মচারী নির্ভর দল হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে খুলনা সিটি নির্বাচনের ন্যায় আগামী জাতীয় নির্বাচনেও বিএনপি কিছুই করতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না। যদি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে আগামী নির্বাচন হয় তবে জয় পাবার একটি সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে বিএনপির উক্ত নেতার বক্তব্যের বিপরীতে তারেক রহমানপন্থী এক নেতা বলেন, ফখরুলপন্থী বিএনপির কতিপয় নেতা চাচ্ছে বিএনপিকে বিভক্ত করতে। আমরা তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দেবো এবং এই সব নেতাদের দল থেকে বের করে দেবো।
ক্ষমতার স্বাদ থেকে ১১ বছর বাইরে থাকা বিএনপি অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বেসামাল হয়ে পড়েছে। দলের মধ্যেই অনেকে তারেক রহমানের নেতৃত্ব মানতে চান না। অনেকে মির্জা ফখরুলকে মহাসচিব হিসেবে দেখতে চান না। আবার অনেকে চায় নতুন নেতৃত্ব। বিএনপি ব্যক্তিস্বার্থের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে জনসাধারণের রাজনীতি না করলে আর কখনোই ক্ষমতায় আসবে পারবে না বলে আশংকা প্রকাশ করছেন এই রাবি শিক্ষক ।
