সেবা ডেস্ক: দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আশ্রয় করে জনমত তৈরি করতে অভ্যন্তরের বিভিন্ন অসুবিধা নিয়ে গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেন দলের শীর্ষ নেতাকর্মীরা। তারই ধারাবাহিকতায় এবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কারাগারে খালেদা জিয়াকে পোকামাকড়ে দংশনে করছে, তাই তিনি ধিরে ধিরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। রিজভীর এমন মন্তব্য খালেদা জিয়াকে অপমান করার সমতুল্য বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন খোদ বিএনপির একাধিক নেতা।
সূত্র জানায়, এ নিয়ে দলের ভেতরে একটি চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। যা শেষ পর্যন্ত চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কান পর্যন্ত পৌঁছেছে।
সম্প্রতি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বরাবরের মতোই অভিযোগ এনে বলেছেন, নেত্রীর ঘাড়ে প্রচণ্ড ব্যথা এবং বাম হাতটা অবিরাম ব্যথার কারণে শক্ত হয়ে উঠেছে। দুই পায় ক্রমাগত ব্যথা হচ্ছে এবং সেগুলো ভারি ও ফুলে উঠছে। যদিও কারা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পদত্ত চিকিৎসকরা বলছেন, বয়স বাড়ার সাথে সাথে একজন বয়স্ক মানুষের যেসব শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় খালেদা জিয়ার সমস্যাগুলোও তাই। ফলে এসব অভিযোগকে রাজনৈতিক হিসেবেই বিবেচনা করছেন বিশ্লেষকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, এ পর্যন্ত ম্যাডামের কারাগারের সমস্যা নিয়ে দলের নেতারা যেসব অভিযোগ তুলেছে তা ঠিকই ছিলো। যদিও সরকার বলেছে, সেগুলো দলের রাজনৈতিক বক্তব্য। সে যাই হোক। কিন্তু রিজভী ভাইয়ের মতো একজন সিনিয়র নেতা যিনি ম্যাডামকে নিয়ে কিছু একটা বলার আগে কয়েকবার ভেবে বলেন, তার মুখে ম্যাডামকে পোকা-মাকড় কামড়াচ্ছে এমন মন্তব্য একেবারেই মানায় না। এটা একদিকে যেমন দলীয় ভাবমূর্তিকে ছোট করা তেমনি স্বয়ং ম্যাডামকে জাতির সামনে অপমানিত করারও সামিল।
জানা গেছে, রুহুল কবির রিজভীর এমন বক্তব্যর বিষয়টি যেকোন মারফত বেগম জিয়া পর্যন্ত পৌঁছালেও তিনি এ নিয়ে কোনো মনোভাব প্রকাশ করেননি। তবে অতি শীঘ্রই মির্জা ফখরুলকে কারাগারে তার সঙ্গে দেখা করতে জরুরি তলব করেছেন বলেও নিশ্চিত করেছে সূত্র।
সূত্র জানায়, এ নিয়ে দলের ভেতরে একটি চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। যা শেষ পর্যন্ত চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কান পর্যন্ত পৌঁছেছে।
সম্প্রতি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বরাবরের মতোই অভিযোগ এনে বলেছেন, নেত্রীর ঘাড়ে প্রচণ্ড ব্যথা এবং বাম হাতটা অবিরাম ব্যথার কারণে শক্ত হয়ে উঠেছে। দুই পায় ক্রমাগত ব্যথা হচ্ছে এবং সেগুলো ভারি ও ফুলে উঠছে। যদিও কারা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পদত্ত চিকিৎসকরা বলছেন, বয়স বাড়ার সাথে সাথে একজন বয়স্ক মানুষের যেসব শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় খালেদা জিয়ার সমস্যাগুলোও তাই। ফলে এসব অভিযোগকে রাজনৈতিক হিসেবেই বিবেচনা করছেন বিশ্লেষকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, এ পর্যন্ত ম্যাডামের কারাগারের সমস্যা নিয়ে দলের নেতারা যেসব অভিযোগ তুলেছে তা ঠিকই ছিলো। যদিও সরকার বলেছে, সেগুলো দলের রাজনৈতিক বক্তব্য। সে যাই হোক। কিন্তু রিজভী ভাইয়ের মতো একজন সিনিয়র নেতা যিনি ম্যাডামকে নিয়ে কিছু একটা বলার আগে কয়েকবার ভেবে বলেন, তার মুখে ম্যাডামকে পোকা-মাকড় কামড়াচ্ছে এমন মন্তব্য একেবারেই মানায় না। এটা একদিকে যেমন দলীয় ভাবমূর্তিকে ছোট করা তেমনি স্বয়ং ম্যাডামকে জাতির সামনে অপমানিত করারও সামিল।
জানা গেছে, রুহুল কবির রিজভীর এমন বক্তব্যর বিষয়টি যেকোন মারফত বেগম জিয়া পর্যন্ত পৌঁছালেও তিনি এ নিয়ে কোনো মনোভাব প্রকাশ করেননি। তবে অতি শীঘ্রই মির্জা ফখরুলকে কারাগারে তার সঙ্গে দেখা করতে জরুরি তলব করেছেন বলেও নিশ্চিত করেছে সূত্র।