সেবা ডেস্ক: ১৮৫৪ সালে সিলেট শহরের উপকণ্ঠে মালনিছড়া চা বাগানে চা উৎপাদনের মধ্য দিয়ে প্রথম বাণিজ্যিক ভাবে চা চাষাবাদ শুরু হয়। তখন থেকে পর্যায়ক্রমে চা এ দেশে একটি কৃষি ভিত্তিক শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বেকারসহ অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, আমদানি বিকল্প দ্রব্য উৎপাদন এবং কর্মসংস্থানের সৃষ্টিতে গ্রামীণ দারিদ্র্য হ্রাসকরণের মাধ্যমে চা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন শুরু করে। বর্তমানে আমাদের দেশে যে পরিমাণ চা উৎপাদন হয় তা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি হচ্ছে।
বাংলাদেশে চা শিল্পের বিকাশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অবিস্মরণীয়। ১৯৫৭-৫৮ সময়কালে তিনি বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। সে সময়ে চা শিল্পে মাঠ ও কারখানা উন্নয়ন এবং শ্রম কল্যাণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। বিগত তিন দশক ধরে চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। কিন্তু উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়েনি। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার রপ্তানি বাড়াতে চা শিল্পকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর কৌশল হাতে নিয়েছে।
জাতীয় অর্থনীতিতে চা শিল্পের গুরুত্ব অপরিসীম ও সুদূরপ্রসারী। জিডিপিতে চা খাতের অবদান ০.৮১ শতাংশ। আমাদের দেশে বর্তমানে চায়ের প্রায় সোয়া ২ হাজার কোটি টাকার বাজার রয়েছে। ২০১৬ সালে সারা দেশে ৮ কোটি ৫০ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে, যা গত ২০১৫ সালের চেয়ে ১ কোটি ৭৮ লাখ ১০ হাজার কেজি বেশি। এটি আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে চায়ের চাহিদা রয়েছে প্রায় ৭ কোটি কেজি। অথচ ২০০৫ সালে মাত্র ৬ কোটি ১ লাখ ৪০ হাজার কেজি উৎপাদন হয়েছিল।
২০১০ সালে বাংলাদেশ ৯ লাখ কেজি চা রপ্তানি করে আয় করেছিল মাত্র ১৭ কোটি টাকা। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর চা শিল্পের উন্নয়নে বিভিন্ন ধরণের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ফলশ্রুতিতে ২০১৭ সালে ২৫ লক্ষ কেজি চা রপ্তানি করে ৪১ কোটি টাকা আয় করেছে, যা ২০১০ সালের আয়কৃত অর্থের চেয়ে ২৬ কোটি টাকা বেশি।
বাংলাদেশ সরকার চায়ের উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়াতে ১৫ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। উক্ত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে চায়ের বার্ষিক উৎপাদন বর্তমানে ৮ কোটি কেজির পরিবর্তে ১৪ কোটি কেজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে চা বাগানের সংখ্যা ১৫৬টি। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে চা শিল্পের সাথে আমাদের দেশের ৭ লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত। এই খাতে উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান আরো বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
এক সময় চা রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। চায়ের হারানো গৌরব ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে বর্তমান সরকার। ভবিষ্যতে চা শিল্পের বিকাশ এবং রপ্তানি বাড়াতে একটি “পথ-নকশা” তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। চা রপ্তানিতে বাংলাদেশ এখন অষ্টম। আরও এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
আগামী ৫ বছর চা শিল্পে বর্তমান সরকারের চলমান উন্নয়নের ধারা বজায় থাকলে এই শিল্প আবারো তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে চা শিল্পের বিকাশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অবিস্মরণীয়। ১৯৫৭-৫৮ সময়কালে তিনি বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। সে সময়ে চা শিল্পে মাঠ ও কারখানা উন্নয়ন এবং শ্রম কল্যাণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। বিগত তিন দশক ধরে চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। কিন্তু উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়েনি। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার রপ্তানি বাড়াতে চা শিল্পকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর কৌশল হাতে নিয়েছে।
জাতীয় অর্থনীতিতে চা শিল্পের গুরুত্ব অপরিসীম ও সুদূরপ্রসারী। জিডিপিতে চা খাতের অবদান ০.৮১ শতাংশ। আমাদের দেশে বর্তমানে চায়ের প্রায় সোয়া ২ হাজার কোটি টাকার বাজার রয়েছে। ২০১৬ সালে সারা দেশে ৮ কোটি ৫০ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে, যা গত ২০১৫ সালের চেয়ে ১ কোটি ৭৮ লাখ ১০ হাজার কেজি বেশি। এটি আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে চায়ের চাহিদা রয়েছে প্রায় ৭ কোটি কেজি। অথচ ২০০৫ সালে মাত্র ৬ কোটি ১ লাখ ৪০ হাজার কেজি উৎপাদন হয়েছিল।
২০১০ সালে বাংলাদেশ ৯ লাখ কেজি চা রপ্তানি করে আয় করেছিল মাত্র ১৭ কোটি টাকা। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর চা শিল্পের উন্নয়নে বিভিন্ন ধরণের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ফলশ্রুতিতে ২০১৭ সালে ২৫ লক্ষ কেজি চা রপ্তানি করে ৪১ কোটি টাকা আয় করেছে, যা ২০১০ সালের আয়কৃত অর্থের চেয়ে ২৬ কোটি টাকা বেশি।
বাংলাদেশ সরকার চায়ের উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়াতে ১৫ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। উক্ত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে চায়ের বার্ষিক উৎপাদন বর্তমানে ৮ কোটি কেজির পরিবর্তে ১৪ কোটি কেজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে চা বাগানের সংখ্যা ১৫৬টি। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে চা শিল্পের সাথে আমাদের দেশের ৭ লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত। এই খাতে উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান আরো বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
এক সময় চা রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। চায়ের হারানো গৌরব ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে বর্তমান সরকার। ভবিষ্যতে চা শিল্পের বিকাশ এবং রপ্তানি বাড়াতে একটি “পথ-নকশা” তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। চা রপ্তানিতে বাংলাদেশ এখন অষ্টম। আরও এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
আগামী ৫ বছর চা শিল্পে বর্তমান সরকারের চলমান উন্নয়নের ধারা বজায় থাকলে এই শিল্প আবারো তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।