
সেবা ডেস্ক: গাজিপুরে সরকারি বনভূমি দখল, অবৈধ মাদক ব্যবসা, চুরি-দুর্নীতির পাশাপাশি নারী নির্যাতন-ধর্ষণে সিদ্ধহস্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রাথী হাসান উদ্দিন সরকার। গরীব ও অবহেলিত নারীদের চাকরি দেওয়ার নামে লালসা মিটাতেন মেয়র প্রার্থী হাসান। নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে চাইলে হত্যারও হুমকি দিতেন বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিত একাধিক নারী গার্মেন্টস কর্মী।
এ বিষয়ে হাসান সরকারের হাতে নির্যাতিত এক নারী গার্মেন্টস কর্মীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, টঙ্গী পৌরসভার মেয়র থাকাকালীন সময়ে উচ্চ বেতনের লোভ দেখিয়ে আমাকে নির্যাতন করেন হাসান। শুধু নির্যাতন করেই ক্ষান্ত হননি তিনি। নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে আমাকে প্রায়ই ভয় দেখাতেন তিনি। পুনরায় আমি তাকে সুযোগ না দিলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন তিনি। আমার এ করুণ কাহিনী আমার সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করলে তারা জানায়, অনেক অসহায় নারীর সতীত্ব নষ্ট করেছেন এই হাসান। এর পরেও কি আপনারা তাকে মানুষ বলবেন? সে একটা পশু। এসব কথা বলতে বলতে অঝোরে কেঁদে ফেলেন সেই নারী।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০১ সালে মেয়র থেকে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর হাসান উদ্দিনের লালসা আরো বেড়ে যায়। সুন্দরী মেয়েকে পছন্দ হলে রাতের আঁধারে নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে সারারাত মৌজ-মাস্তি করতেন হাসান উদ্দিন। হাসান উদ্দিনের চরিত্র নিয়ে মুখ খুলেন মধ্যবয়সী শ্যামবরণের এক মধ্যবয়স্কা গার্মেন্টস কর্মী। তিনি বলেন, হাসান উদ্দিন একটা বদ স্বভাবের মানুষ। সাদা-কালো রং তার কাছে কোন কিছুই না। প্রতিদিন তার নারী সঙ্গ লাগে। বৃদ্ধ একটা মানুষ যে এতটা চরিত্রহীন হতে পারে তা হাসান উদ্দিনকে না দেখলে বোঝা যেতো না। হাসান বিকৃত রুচির মানুষ। তার শরীর চলে না। আমার সম্মুখে ওষুধ খেয়ে তিনি আমাকে নির্যাতন করতো। তার কারণে আমার সংসার ভেঙেছে। আমি তার উপযুক্ত বিচার চাই।
জানা গেছে, হাসানের পরিবারের সদস্যদেরও চরিত্রগত সমস্যা রয়েছে। তার ছোট ভাই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী নুরুল ইসলাম সরকারের কারণে এলাকার নারীরা দিনের বেলাতেও রাস্তায় চলাফেরা করতে ভয় পেতো। এমন নারীলোভী মানুষকে এলাকার খেটে খাওয়া নারীরা ভোট দিবে না বলেও জানিয়েছেন একাধিক নারী গার্মেন্টস কর্মী।