
সেবা ডেস্ক: খুলনা সিটি নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়ে এবার সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ী হতে অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। সূত্রের খবরে জানা গেছে, স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপির জনপ্রিয়তা হ্রাস পাওয়ায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নামে নিজ কাউন্সিলর প্রার্থীদের নমিনেশন নিয়ে নির্বাচন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে স্থানীয় সিলেট বিএনপি। পাশাপাশি অজনপ্রিয় বিএনপি কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যানারে নমিনেশন দিয়ে নির্বাচন করারও ফঁন্দি আটছে বিএনপি।
সূত্রের খবরে জানা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশনের বিএনপিপন্থী কাউন্সিলরদের অবস্থান ভাল না। বিগত পাঁচ বছরে বিএনপির একাধিক কাউন্সিলররা চুরি-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, মাদক ব্যবসা, চোরাচালানের সাথে জড়িত থেকে এলাকায় নিজেদের ইমেজ নষ্ট করে ফেলেছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা আর নির্বাচিত হতে পারবেন না। তাই নির্বাচনে ভরাডুবি ঠেকাতে বিকল্প এই পরিকল্পনা নিয়েছে সিলেট বিএনপি। যেকোন উপায়ে নিজেদের পাল্লা ভারি রাখতে তাই এবার ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আতাত করে তাদের টিকিট দিয়ে বিএনপির পক্ষে নির্বাচন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন আরিফুল হক চৌধুরী। অবশ্য এর বিনিময়ে তাদের নির্বাচনী খরচ দিতে রাজি হয়েছেন আরিফুল হক। শর্ত হল তাদের বিএনপির হয়ে গোপনে কাজ করতে হবে এবং নির্বাচিত হলে বিএনপির হয়ে প্রকাশ্যে কাজ করতে হবে।
এছাড়া বিএনপির যেসব কাউন্সিলরদের অবস্থান ভাল নয় তারা অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করবে এবং বিএনপির হয়ে মাঠে কাজ করবে। এক কথায় বদনাম-দূর্নাম এড়িয়ে যেকোন উপায়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের নিজেদের অবস্থান হারাতে চায় না বিএনপি। এই পরিকল্পনা নিয়ে দলীয় ও অন্য দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাথে একাধিক গোপন বৈঠক করেছেন মেয়র আরিফুল হক।
এই বিষয়ে বিএনপি হয়ে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন বঞ্চিত এক নেতা বলেন, সিটি নির্বাচন নিয়ে বিকল্প চিন্তা করছে সিলেট বিএনপি। প্রয়োজনে প্রার্থী বদল করে হলেও নির্বাচনে জয়ী হতে চায় বিএনপি। এটা তো খারাপ কিছু না। বিএনপির প্রার্থীরা অন্য দলের হয়ে নির্বাচন করবেন এবং একাধিক ছোট ছোট দলের নেতারা বিএনপির হয়ে নমিনেশন নিয়ে নির্বাচন করবেন। এটা আমাদের নতুন কৌশল। আমরা সিলেটে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে সব করতে চাই। মেয়র আরিফুল হক টাকা দিয়ে অন্য দলের নেতাদের কিনে নিয়েছেন। আর গাটের পয়সা খরচ করে বিএনপি প্রার্থীদের অন্য দলের হয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটাতো অসাংবিধানিক কিছু না। রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই।