শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা বিদ্যুবিহীন ৪৮ ঘন্টা! এদিকে ধমকা হাওয়া সহ টানা দু-দিনের বারী বর্ষণে বাঁশখালীতে বিভিন্ন পয়েন্টে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
বৈদ্যুতিক তারের উপর গাছপালা ভেঙ্গে পড়ায় সংযোগ তার ছিড়ে যাওয়া এবং বৈদ্যুতিক থাম বেঁকে যাওয়ায় বাঁশখালী জুড়ে টানা ৪৮ ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎ বিহীন অতিষ্ট জিবনযাপন করছে স্থানীয়রা।
রমজানের মতো গুরুত্বপূর্ণ মাসে বিদ্যুৎতের দীর্ঘসময় ধরে বিচ্ছিন্ন থাকায় জনজীবন চরমাকার ধারণ করেছে। এদদিকে আসন্ন ঈদুল ফিতরের সময় আর মাত্র কয়েকদিন বাকী।
ঈদকে কেন্দ্র করে ধুমধাম বিকিকিনির যে মহৌৎসব চলে তা দু-দিন ধরে অনেকাংশে কমে গেছে। টানা বৃষ্টিপাতের ফলে ক্রেতাদের ভীড় কমে গেছে মার্কেট গুলোতে, অন্যদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় ঈদের মার্কেট গুলো অন্ধকারে রুপ নিয়েছে।
বাঁশখালী উপজেলার জলদী পৌরসভার জিএস প্লাজার কাপড়ের দোকানদার মো. বেলাল উদ্দীন বলেন, একদিকে টানাবর্ষণ অন্যদিকে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থা আমাদের ব্যবসায়ীক বিকিকিনিতে নানা প্রভাব পড়েছে।
এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ সাব-জোনাল অফিসটি জনবল সংকটে পড়েছে। এমনকি জনবলের কারণে বাঁশখালীর সমগ্র ইউনিয়নের কাজকর্ম নিয়ে নানা ভাবে হিমশিম খাচ্ছে।
এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ সাব-জোনাল অফিসটি জনবল সংকটে পড়েছে। এমনকি জনবলের কারণে বাঁশখালীর সমগ্র ইউনিয়নের কাজকর্ম নিয়ে নানা ভাবে হিমশিম খাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুকুরিয়া, সাধনপুর, খানখানাবাদ, রায়ছটা, বাহারছড়া, কালীপুর, কাথরিয়া, বৈলছড়ি, সরল, শীলকূপ, গন্ডামারা, চাম্বল, শেখেরখীল, ছনুয়া, পুঁইছুড়ির সহ বেশ কিছু পয়েন্টে গাছপালা পড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
চলতি রমজান মাসে রোজাদার এবং গ্রাহকদের সুবিধার্থে দ্রুত সময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা। চলতি রমজানের প্রথমদিকে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকলেও বিগত কয়েকদিন ধরে শুরু হয়েছে বিদ্যুৎতের ভেল্কিবাজি।
দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল ব্যবহার্য যন্ত্রপাতিসহ বিশেষ করে ফ্রিজে রাখা খাদ্যদ্রব্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এমনকি যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম মুঠোফোনটিও বন্ধ হওয়ার উপক্রম। সরকারী অফিস- আদালতের কাজের স্থুপ পড়ে আছে। ব্যাংক, হাসপাতালসহ সরকারী বেসরকারি প্রতিষ্টানের কাজে ব্যাপক বাঁধার সৃষ্টি হয়েছে। কবে নাগাত বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হবে জানতে চেয়ে বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. নাঈমুল হাসানকে বার বার কল করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এক লাইন টেকনেশিয়ান জানান, আমাদের লাইনম্যান প্রয়োজনের তুলনায় অনেকাংশে কম। এদিকে টানাবর্ষণে কোনভাবেই সাইডে কাজ করা যাচ্ছেনা। তবে খুব শিগ্রই লাইন গুলো চেক করে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হবে।
বিদ্যুৎবিহীন জনজীবন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌছেছে। গ্রাহক পর্যায়ের অনেকে জানান, বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুতের দীর্ঘ সূত্রীতা ও গাফেলতির কারনে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়ে উঠেনি।
সামান্য বাতাস আর বৃষ্টিপাত হলেই বাঁশখালীতে বিদ্যুৎ থাকেনা। এহেন অবস্থা থেকে উত্তরণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া পয়েন্টগুলো চেক করে দ্রুত বিদ্যুৎতের সংযোগ চালুর দাবী জানান স্থানীয়রা।