সেবা ডেস্ক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মন্তব্য করেছেন, কারো দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়।
 |
| বিএনপি ক্ষমতায় এলে ৫০ লাখ 'ফ্যামিলি কার্ড' দেবে; তারেক রহমানের ভাষণে গণতন্ত্র ও ঐক্যের বার্তা |
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে জনগণের ভোটের মাধ্যমে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ, জবাবদিহিমূলক একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠাই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান কর্তব্য।
শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) কনভেনশন হলে মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোট আয়োজিত হিন্দু প্রতিনিধি সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান সতর্ক করেন যে, দেশ অস্থিতিশীল হলে পরাজিত, পলাতক ফ্যাসিবাদী অপশক্তির পুনর্বাসনের পথ সুগম হতে পারে। এ প্রসঙ্গে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘গুপ্ত রাজনীতি’ সম্পর্কে সজাগ থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের রোষানল থেকে বাঁচতে ফ্যাসি-বাদবিরোধীদের কেউ কেউ ‘গুপ্ত কৌশল’ অবলম্বন করেছিল। একইভাবে, পতিত–পরাজিত ফ্যাসিবাদী অপশক্তিও বর্তমানে ‘গুপ্ত কৌশল’ অবলম্বন করে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করে কিনা, সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। তারেক রহমান আরও বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথের সঙ্গী কারো কারো ভূমিকা দেশে বহু মানুষের অধিকার ও সুযোগ নষ্ট করার পরিস্থিতি তৈরি করছে। তিনি পতিত ও পলাতক অপশক্তিকে কোনো সুযোগ না দেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, "গুপ্ত বাহিনীর সেই অপকৌশল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অন্যতম প্রধান কৌশল হচ্ছে, একটি ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য বজায় ও বহাল রাখা।" তিনি উল্লেখ করেন, সেজন্য বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকার এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গীদের প্রতি সহযোগিতা ও সমঝোতার দৃষ্টিভঙ্গি সমুন্নত রেখেছে।
তারেক রহমান বিএনপিকে ‘একটি শান্তিকামী, সহনশীল, গণমুখী’ রাজনৈতিক দল হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ভিন্ন দল, ভিন্ন মতের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করা বিএনপির রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ।
তিনি ঘোষণা করেন, নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিএনপি সরকার গঠন করলে স্বল্প আয়ের মানুষদের সহায়তার জন্য ৫০ লাখ ‘ফ্যামিলি কার্ড’ বিতরণ করা হবে। এছাড়াও, তরুণদের জন্য চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা হবে; কারিগরি প্রশিক্ষণ ও গুরুত্বপূর্ণ ভাষা শিক্ষার মাধ্যমে তাদের দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করে দেশে ও বিদেশে কাজের ব্যবস্থা করা হবে।
বাংলাদেশের ধর্মীয় বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘বৈচিত্র্যের মধ্যেই ঐক্যের বন্ধনই আমাদের রাষ্ট্র এবং সমাজের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সৌন্দর্য।’ তিনি এই বৈচিত্র্যময় সমাজে ঐক্যসূত্র হিসেবে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদকে উল্লেখ করেন। তিনি সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকারের কথা পুনরায় উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসাবে এ বাংলাদেশে আপনার যতটুকু অধিকার আমারও ঠিক ততটুকুই অধিকার। কারো বেশি, কারো কম– তা নয়।’ এ সময় তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের উত্থাপিত বিভিন্ন দাবি পূরণের আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের আহ্বায়ক সোমনাথ সেন সভাপতিত্ব করেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবিগুলো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে তুলে ধরেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ। মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের সদস্যসচিব ও মুখপাত্র কপিল কৃষ্ণ মণ্ডলসহ হিন্দু মহাজোট ও হিন্দু ফ্রন্টের নেতারাও বক্তব্য রাখেন।
সূত্র: /সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশ্যে আপোষহীন
রাজনীতি- নিয়ে আরও পড়ুন
ঢাকা-১৭ আসনে আন্দালিব রহমান পার্থের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে হিরো আলম
নাহিদ ইসলামের পিআর আন্দোলনকে 'রাজনৈতিক প্রতারণা' মন্তব্যের প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামী
জামালপুরে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের অধিকার রক্ষাই মূল লক্ষ্য
বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পথে ষড়যন্ত্রের ঝড়
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।