বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

S M Ashraful Azom
বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

সেবা ডেস্ক: সারাবিশ্বে ইন্টারনেটের ব্যবহার দৈনন্দিন কাজগুলোকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। পারস্পরিক যোগাযোগ, তথ্য আদান-প্রদান, কেনাকাটার মতো কাজগুলো ইন্টারনেটের বদৌলতে আগের তুলনায় অনেক কম সময়ে সম্ভব হচ্ছে। আমাদের ব্যক্তিগত যোগাযোগ, কেনাকাটা ও টাকা পয়সার লেনদেন এর মতো দৈনন্দিন কাজ গুলো যখন অনলাইনের হাতে চলে গেছে তখন অনলাইনে নিরাপদ থাকাটা এখন সকল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বেশি জরুরী হয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা যাতে অনলাইনে নিরাপদ থাকতে পারেন সেজন্য প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান বাংলাদেশ সরকার। কীভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে, কীভাবে ব্যবহার করলে নিরাপদ থাকা যাবে, অন্যকে নিরাপদ থাকতে কীভাবে উৎসাহিত করা যাবে এসব বিষয়ে কৌশল শেখানো হবে প্রশিক্ষণে।

দেশে যত মানুষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের বড় একটা অংশই এখনও প্রযুক্তি সম্পর্কে ততোটা জ্ঞান রাখে না। বিভিন্ন সময় প্রযুক্তি ব্যবহার করতে গিয়ে তাদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়। অনেক সময় বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টির কারণে শাস্তির মুখেও পড়তে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। অন্যদিকে ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের প্রযুক্তি জ্ঞান কম থাকায় অন্যরা সেই সুযোগ নিয়ে টার্গেট ব্যক্তিকে বিপদে ফেলছে। এসব সমস্যা দূর করতে অনলাইন নিরাপদ থাকার প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ঘটনায় অনলাইনে বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অস্থির হয়ে ওঠে। এই মাধ্যমকে কেন্দ্র করে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। জনগণকে উত্তেজিত করতে উসকানি দেওয়া ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। এসব ঘটনা যেন আর না ঘটে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে যাতে কেউ কারও অনিষ্ট করতে না পারে এই প্রশিক্ষণে সেসব বিষয়ে শেখানো হবে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অপব্যবহারের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্যও এই প্রশিক্ষণ বড় একটা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।

প্রযুক্তি ও ফেসবুক ‘সাক্ষরতার’ এই বিষয়টিকে সময়ের চাহিদা হিসেবে দেখা হচ্ছে উল্লেখ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘মানুষ অনলাইন ব্যবহারে একদমই সচেতন নন। অনলাইনে কী করা উচিত, কী করা উচিত নয়, অনলাইনকে কীভাবে জঞ্জালমুক্ত রাখা যায় এসব বিষয়ে একদমই সচেতন নন তারা। আমাদের কাজটি মূলত সচেতনতা তৈরির।’ মন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘শুধু সচেতন করলেই হবে না, তাদের প্রযুক্তিতে সাক্ষর করে তুলতে হবে। এজন্যই বই তৈরি করা হয়েছে। নির্দেশনা মেনে চললে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র নিরাপদ থাকবে।’

সরকারের আইসিটি বিভাগে সব সময়ই কোন না কোন প্রশিক্ষণ চলছে। প্রোগ্রামিং প্রশিক্ষণ, কল সেন্টার কর্মী ও উদ্যোক্তা তৈরির মতো অসংখ্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছে আইসিটি বিভাগ। এসব প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এখন থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার এবং সেই সঙ্গে এর সতর্কতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আইসিটি বিভাগ এরই মধ্যে প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল হিসেবে একটি পুস্তিকা তৈরি করেছে। ওই পুস্তিকায় প্রশিক্ষণের যাবতীয় বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। অনলাইন ব্রাউজিং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহারের সময় যাতে কোনও ধরনের বিব্রতকর অবস্থা তৈরি না হয় সেজন্য আগাম সতর্কতা হিসেবে এই বই গাইডলাইন হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের আইসিটি বিভাগে যেকোনও প্রশিক্ষণের সময়ও দেওয়া হবে বইটি।

 -

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top