সেবা ডেস্ক: গণতান্ত্রিক উপায়ে জনসাধারণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে না পেরে, এবার দেশ বিক্রি করে হলেও ক্ষমতায় আসার কুপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে আমেরিকায় গেলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ সূত্র বরাত এ তথ্যের নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে। সূত্র বলছে, বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকাণ্ড করে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হওয়া কিছু জঙ্গি মনোভাবাপন্ন ব্যক্তি যারা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তাদের সহায়তা নিয়েই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে দেশকে বিক্রি করে হলেও ক্ষমতায় যাওয়ার পায়তারা করছে বিএনপি। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন মির্জা ফখরুল ও তাবিথ আউয়াল।
জানা গেছে, বিএনপির ডোনারখ্যাত আউয়াল পরিবার ও জঙ্গি সংগঠন আইএসের কিছু সদস্য, যারা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে, তাদের সঙ্গে একীভূত হয়ে বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে ক্ষমতায় যাওয়ার পায়তারা করছে বিএনপি। বিএনপির এই মিশনে আওয়াল পরিবার ছাড়াও অর্থ প্রদান করছেন মির্জা আব্বাস, মোসাদ্দেক আলী ফালু, সাকা পরিবার, গোলাম আজম পরিবার, সাঈদী পরিবার, ড. মোহাম্মদ ইউনূসসহ অসংখ্য সরকার বিরোধী শক্তি।
দেশের সাধারণ মানুষকে খুন করে ক্ষমতায় যাওয়াটা কতটুকু যৌক্তিক? এমন প্রশ্ন তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের একজন অধ্যাপক বলেন, ক্ষমতায় আসতে কেউ যদি অস্ত্রের সহায়তা নেয়, তবে বুঝে নিতে হবে দেশের মানুষের প্রতি তাদের কোনো আবেগ-অনুভুতি নেই। সে যেই হোক না কেন? দেশের মানুষের ক্ষতি যারা করে তারা কখনোই দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করতে পারে না। আমাদের উচিত হিংসাত্মক রাজনীতি ছেড়ে জনসাধারণের পছন্দের মানুষকে দেশ পরিচালনায় সহযোগিতা করা। নতুবা দেশ কখনোই উন্নতির মুখ দেখবে না।
উল্লেখ্য, বিদেশে টাকা পাচারের দায়ে বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতাকে তলব করেছিলো দুদক। সেই তলব উপেক্ষা করে মোসাদ্দেক আলী ফালুর পর এবার দেশের বাইরে গেলো তাবিথ আউয়াল। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে বিদেশের মাটিতে দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসার নীল নকশা শুধু স্বপ্নেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব, তবে বাস্তবে নয় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
