আশরাফুল ইসলাম রনি,তাড়াশ(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দিঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-২ এ অবকাঠামোসহ নানা সুযোগ-সুবিধা থাকলেও নেই শুধু বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলের রাস্তা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের প্রায় আড়াইশো কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় চারপাশে ধানক্ষেত আর ডোবা-নালা পেরিয়ে বাধ্য হয়ে অনেকটা পথ ঘুরে কৃষি জমির সরু আইল দিয়ে যাতায়াত করছেন। আর এভাবে চরম ভোগান্তির শিকার হলেও দেখার কেউ নেই।
বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থী মোঃ আল রোমান, মোঃ ওমর ফারুক, রহ্মত আলী, মোছাঃ খাদিজা খাতুন, মমতাজ খাতুনসহ অনেকেই আক্ষেপ করে জানায়, বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার রাস্তা না থাকায় তাদের খুব কষ্ট করেই বিদ্যালয়ে আসতে হয়। তাছাড়া অনেকেরই বাড়ি পাকা রাস্তা থেকে বেশ খানিকটা দূরে হওয়ায় তাদেরকে বিদ্যালয়ে আসতে হয় পায়ে হেটে। তাতে তাদের কষ্ট নেই কিন্তু যখনবিদ্যালয়ে আসতে তাদের একটি বসতঘরের পায়খানার পাশ দিয়ে যেতে হয়, তখন তাদের খুব খারাপ লাগে।
ছাত্র অভিভাবক কোরবান আলী জানান, দিঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-২ এ যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় সকল শিক্ষার্থীকে কৃষি জমির আইল আর ডোবা-নালার পাশ দিয়ে কাদা-পানি মেরে বিদ্যালয়ে আসতে হয়। আর জমির সরু আইল থেকে মাঝে মধ্যেই পা ফসকে কাঁদা পানিতে পড়ে যায়। কাঁদা পানিতে তাদের বই-খাতা নষ্ট হয়। পরিধেয় পোশাকও ভিজে যায় কখনও কখনও। আবার বিদ্যালয়ে যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় অনেক বাবা-মা বর্ষা কালে তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে আসতে দেন না। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলী জানান,২০ বছরেও বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্যএকটি রাস্তা চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে বিভিন্ন সময় আবেদন নিবেদন করেও কোন কাজ হয়নি।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে দিঘরিয়া-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাস্তাটি করার চেষ্টা চলছে।
⇘সংবাদদাতা: আশরাফুল ইসলাম রনি
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।